পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তিন ইউপি সদস্যকে আটকে রেখে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা। রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃত ফিরোজ হোসেন বাকি দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওর্য়াডের ইউপি সদস্য ও নওদাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ মাস্টারের ছেলে। তিনি দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

আলাউদ্দিন খান ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়নের খালিশপুর গ্রামের নবাব আলী খানের ছেলে। তিনি দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক।

আরো পড়ুন:

বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার 

কচুয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবলীগ নেতাকে হত্যা

রফিকুল ইসলাম মাঝি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও মারমী গ্রামের চাঁদ মাঝির ছেলে। তিনি ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য।

স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন পর ইউপি সদস্য ফিরোজ হোসেন বাকি, আলাউদ্দিন খান ও রফিকুল ইসলাম মাঝি দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে আসেন। তারা তিনজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা ইউপি কার্যালয়ে এসেছেন এমন খবর পেয়ে এলাকাবাসী পরিষদে এসে তিনজনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। দুপুর ২টার দিকে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে যায়।”

 

গ্রেপ্তার ইউপি সদস্য ফিরোজ হোসেন বাকির ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আওয়ামী লীগের রাজনীতির জড়িত থাকার কারণে তিন ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তিনজনই আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালনের তারা পরিষদে গিয়েছিলেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের অপমান করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।”

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুলভ মালিথা বলেন, “তিন ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। তারা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিতেন। হয়রানিসহ মামলা থেকে বাঁচানোর কথা বলে তারা বিভিন্ন সময় আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করতেন তারা।” 

তিনি আরো বলেন, “তিন ইউপি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদে এসেছেন শুনে স্থানীয় জনতা তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।”

ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, “তিন ইউপি সদস্যকে স্থানীয় লোকজন ইউনিয়ন কার্যালয়ে আটকে রেখেছিল। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় এনেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা বা অভিযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ আটক আওয় ম ল গ র ন ত কর ম ল ইসল ম ব এনপ র ত ন ইউপ সদস য আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে। 

এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়। 

লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।

২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে। 

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ