মার্জিন রুলসের চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দির পুঁজিবাজার টাস্কফোর্স
Published: 27th, April 2025 GMT
মার্জিন রুলস-১৯৯৯ যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দিয়েছে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) গঠন করে দেওয়া সংস্কার টাস্কফোর্স।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখের উপস্থিতিতে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স সুপারিশমালা আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের কাছে হস্তান্তর করে।
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো.
সুপারিশমালা হস্তান্তরের সময় টাস্কফোর্সের সদস্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিএসই বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তফা আকবর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, “বিএসইসি ও পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স দেশের পুঁজিবাজারের সংস্কারের বিষয়ে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সবার পরামর্শ ও মতামতের আলোকে সংস্কারের জন্য কাজ করছে। পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের চূড়ান্ত সুপারিশের দ্রুত বাস্তবায়নে বিএসইসি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেবে। মাজিন রুলস-১৯৯৯ যুগোপযোগী করা-সংক্রান্ত পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের চূড়ান্ত সুপারিশের কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারের মার্জিন ঋণ-সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান হবে।”
২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং পুঁজিবাজারে আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স গঠন করে বিএসইসি। পরবর্তীতে টাস্কফোর্সের পরামর্শে এবং তাদের কাজের সহযোগিতার জন্য পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে 'পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপ' গঠন করা হয়।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স কমিশনের কাছে মার্জিন রুলস-১৯৯৯ যুগোপযোগী করার খসড়া সুপারিশ জমা দিয়েছিল। ওই খসড়া সুপারিশের ওপর সংশ্লিষ্ট সবার মতামত আহ্বান করা হয়। মতামত বিবেচনায় নিয়েই পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স চূড়ান্ত সুপারিশ প্রস্তুত করেছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে এই চূড়ান্ত সুপারিশের বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের চূড়ান্ত সুপারিশের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
আরো পড়ুন:
লভ্যাংশের টাকা পাঠিয়েছে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স
সিঙ্গারের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের অংশ নেওয়ার অনুরোধ করেছে বিএসইসি।
ঢাকা/এনটি/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস র জ ন র লস
এছাড়াও পড়ুন:
১১ দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার যাচ্ছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান
যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারে সফরে যাচ্ছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। দুই দেশের দুটি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে তিনি ১১ দিনের সফর করবেন।
বিএসইসি ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্বের সকল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩১তম ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট গ্রোথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম।
আরো পড়ুন:
মানিলন্ডারিং সচেতনতায় ৫ ব্রোকার-মার্চেন্ট ব্যাংক পরিদর্শনের আদেশ
ডেসকোর ৯ মাসে লোকসান কমেছে ৭০.৯২ শতাংশ
ইউ.এস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আয়োজনে আগামী ৫ মে থেকে ৯ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে বিএসইসি থেকে অংশ গ্রহণের জন্যও আমন্ত্রণ করা হয়েছে। তাই এ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
কাতারে দোহাতে ১২ থেকে ১৫ মে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনসের (আইওএসকো) ৫০তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সম্মেলনেও যোগদান করবেন তিনি।
গত ২০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে কমিশনের চেয়ারম্যানের এসব সফরের জন্য ১১ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এম এম আশিক রেজা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আগামী ৫ থেকে ৯ মে পর্যন্ত ‘৩১তম ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট গ্রোথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ এবং ১২ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত কাতারের দোহায় আইএসকো ৫০তম বার্ষিক সভায় অংশ নিতে মোট ১১ দিনের ছুটির প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ভ্রমণের সময় তিনি কর্তব্যরত হিসেবে বিবেচিত হবেন, তিনি স্থানীয় মুদ্রায় সমস্ত বেতন এবং ভাতা পাবেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ভ্রমণ সম্পর্কিত সমস্ত ব্যয় বহন করবে।
তিনি নির্ধারিত সময়ের বেশি বিদেশে থাকতে পারবেন না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়টি বিএসইসি’র চেয়ারম্যান নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘ইউ.এস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আমন্ত্রণে আমেরিকা ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সংগঠন আইএসকোর আমন্ত্রণে কাতার যাচ্ছি। সব মিলিয়ে মোট ১১ দিনের সফর হবে।’’
ঢাকা/এনটি/বকুল