উচ্চশিক্ষা সহায়তায় ঢাবিতে স্টাডি অ্যাব্রোড এক্সপো
Published: 27th, April 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘স্টাডি অ্যাব্রোড এক্সপো ৭.০’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) টিএসসিতে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি ইশতিয়াক শাহরিয়ার অলকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এক্সপো’র উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
শিক্ষা ক্ষেত্রে ঢাবির সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় কসোভো
৫ দাবিতে উপাচার্যকে ঢাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনসালটেন্সি ফার্ম বাংলায় আইইএলটিএস এর সিইও রাশেদ হোসেন এবং অস্ট্রেলিয়ার লিংকন ইনস্টিটিউট অফ হায়ার অ্যাডুকেশনের অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজ আশরাফ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “বিশ্ববিদ্যলয়ে আন্তর্জাতিক মানের অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী রয়েছেন। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানের উন্নতি করতে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে।”
তিনি বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রতি বছর বিদেশে যায়। এই স্টাডি আব্রোড এক্সপো থেকে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ পাবে এবং উপকৃত হবে বলে আশা করছি।”
অনুষ্ঠানে ক্যারিয়ার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। বিভিন্ন স্টলে অ্যাডুকেশন কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ব্যক্তিগত পরামর্শ, স্কলারশিপ মূল্যায়ন, অ্যাপ্লিকেশন সহায়তা ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং ক্যারিয়ার প্ল্যান নিয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষা ক্ষেত্রে ঢাবির সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় কসোভো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত মি. লুলযিম প্লানা।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কসোভোর প্রিশটিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কর্মসূচি গ্রহণের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কসোভোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গবেষক বিনিময়ের বিষয়েও আলোচনা করে তারা দ্রুতই এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
আরো পড়ুন:
৫ দাবিতে উপাচার্যকে ঢাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবিতে ঢাবিতে সেমিনার
কসোভো’র রাষ্ট্রদূত মি. লুলযিম প্লানা সমাজকে আরো এগিয়ে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কসোভোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা বিষয়ক সহযোগিতা জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপরও জোর দেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় ঢাকাস্থ কসোভো দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মি. এনিস শেমাইলি উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে মি. লুলযিম প্লানা ঢাবির অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘দ্য রিপাবলিক অব কসোভো টুওয়ার্ডস ইউরো-আটলান্টিক ইন্টিগ্রেশন: রিলেশনস উইথ বাংলাদেশ, এশিয়া, অ্যান্ড দ্য প্রসপেক্টস ফর কো-অপারেশন উইথ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক বিশেষ বক্তৃতা প্রদান করেন। ঢাবির অ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেসি ল্যাব এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেসি ল্যাবের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান এবং শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মি. লুলযিম প্লানা বলেন, “বাংলাদেশ এবং কসোভোর মধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক, একটি সাধারণ সমঝোতা স্মারক এবং কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের চুক্তি। এসব চুক্তি দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।”
তিনি বলেন, “বাণিজ্য ও দু’দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে যৌথ সহযোগিতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দ্বৈত কর পরিহারের ব্যাপারে আরো চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি আলোচনাধীন রয়েছে। কসোভোর কূটনৈতিক একাডেমি জুনিয়র বাংলাদেশী কূটনীতিকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।”
কসোভো বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য কসোভো স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে। এর মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দু’দেশের মধ্যে স্থায়ী সংযোগ গড়ে তোলা হবে। সব স্তরে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী