সব ভূমিকম্প কি প্রাকৃতিক কারণে হয়ে থাকে
Published: 27th, April 2025 GMT
সারা বিশ্বে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে নানা মাত্রায় ভূমিকম্প হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা পাওয়া গেলেও ভূমিকম্পের নির্ভুল সতর্কবার্তা পাওয়া যায় না। তাই ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কে থাকেন অনেকেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে পরিচিতি পেলেও ভূমিকম্প নিয়ে নতুন এক গবেষণা সবাইকে চমকে দিয়েছে। বুলেটিন অব দ্য সিসমোলজিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিকা সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, কিছু ভূমিকম্প আসলে গোপন ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষার কারণে হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির ভূকম্পবিদদের পরিচালিত এ গবেষণায় বলা হয়েছে, উন্নত সংকেত শনাক্তকারী প্রযুক্তির মাধ্যমে মাটির নিচের বিস্ফোরণ শনাক্ত করা যায়। কিন্তু ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা প্রাকৃতিক ভূমিকম্পের মতো ভূমিকম্পের সংকেত তৈরি করতে পারে, যা ভূমিকম্প শনাক্ত কার্যক্রমকে কঠিন করে তুলছে।
আরও পড়ুনস্মার্টফোনে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাবেন যেভাবে২৮ মার্চ ২০২৫গবেষণায় বলা হয়েছে, উন্নত সংকেত শনাক্তকারী প্রযুক্তির মাধ্যমে মাটির নিচের যে কোনো বিস্ফোরণ শনাক্ত করা যায়। এ বিষয়ে ভূকম্পবিদ জশুয়া কারমাইকেল জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ ও ভূমিকম্পের তরঙ্গের মধ্যে ওভারল্যাপ হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সংবেদনশীল ডিজিটাল সিগন্যাল ডিটেক্টরও অস্পষ্ট তথ্য দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুনগুগলের পাঠানো ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা কতটা নির্ভরযোগ্য১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫নতুন গবেষণার কারণে বিশেষজ্ঞরা ২০১২ সালের একটি প্রতিবেদনকে পুনর্বিবেচনা করছেন। তখন বলা হয়েছিল, ভূমিকম্পের সংকেত বিস্ফোরণের সংকেত ঢেকে রাখতে পারে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, প্রাকৃতিক সিসমিক সিগন্যালের মাধ্যমে বিভিন্ন বিস্ফোরণ ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য লুকানো হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়া গত ২০ বছরে ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। অনেক সময় এসব পরীক্ষাকে ভূমিকম্প হিসেবে দাবি করা হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ ম কম প র স
এছাড়াও পড়ুন:
সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে।
এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়।
লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।
২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে।