অনেক দিন পর্দায় দেখা মেলেনি অভিনেত্রী মুমহাতিনা টয়ার। অবশেষে উপস্থাপক হয়ে ছোট পর্দায় দেখা দিলেন তিনি। তিনি জানান, দেড় বছরের বিরতি ভেঙে নতুন করে পা রেখেছেন বিনোদন জগতে। ক’দিন আগে শেষ করেছেন রিয়েলিটি শো ‘আর্ট অব প্লেটিং’-এর দ্বিতীয় সিজনের শুটিং।
অনুষ্ঠানটি প্রতি শুক্র ও শনিবার বাংলাভিশনে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে, আরটিভিতে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে এবং দীপ্ত টেলিভিশনে রাত সাড়ে ৯টায় প্রচার হচ্ছে। এর বিভিন্ন পর্বে টয়ার অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনপ্রিয় সব তারকারা।
টয়ার কথায়, অন্যান্য রিয়েলিটি শো থেকে ‘আর্ট অব প্লেটিং’ কিছুটা আলাদা। খাবার রান্না করার পর সেটাকে কত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায় অর্থাৎ প্লেটিং করা যায়; তা নিয়ে এই শো, যাকে বলা হচ্ছে ‘আর্ট অব প্লেটিং’। এমন ভিন্ন ধরনের রিয়েলিটি শো উপস্থাপন করার অভিজ্ঞতাও অন্যরকম বলে স্বীকার করছেন ছোট পর্দার এ তারকা। এদিকে উপস্থাপনার পাশাপাশি অভিনয় নিয়েও ভাবা শুরু করেছেন টয়া।
তিনি জানান, বিয়ে, ঘর-সংসার সাজানো থেকে শুরু করে জীবনকে নতুনভাবে গুছিয়ে নেওয়ার জন্যই অভিনয়ে বিরতি নিতে হয়েছিল। এ সময়ে এসে তাঁর মনে হয়েছে, এবার কাজে মনোযোগ দেওয়া যেতে পারে। সে ভাবনা থেকেই উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে বিরতি ভাঙা। অভিনয়ের মতো উপস্থাপনাও দারুণ উপভোগ করেছেন বলে টয়া জানান।
প্রসঙ্গত, টয়াকে সর্বশেষ পর্দায় দেখা গিয়েছিল তপু খান পরিচালিত ‘ভালোবাসার রঙ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে। এতে অভিনয় করে দর্শক মনোযোগও কেড়ে নিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে।
এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়।
লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।
২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে।