বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কুষ্টিয়ায় পৌরসভার সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নানকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

গ্রেপ্তারের একদিন পর শনিবার (২৬ এপ্রিল) তাকে জামিন দেন কুষ্টিয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোপাল চন্দ্র সরকার। এর প্রতিবাদে রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে ‘সুশীল সমাজ ও ছাত্রজনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। 

কুষ্টিয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম আসামিকে জামিন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

ছয় দফা দাবিতে রাজশাহী পলিটেকনিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ 

আরো পড়ুন: হত্যাচেষ্টা মামলায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সার্ভেয়ার গ্রেপ্তার

অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত ৫৭ নম্বর আসামি। গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়াদি ফকিরপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে,  ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করতে সক্রিয় ছিলেন মান্নান। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। কিছুদিন পলাতক থাকার পর পুনরায় কুষ্টিয়া পৌরসভার দাপ্তরিক কাজে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি লাঠি হাতে নিয়ে ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জোরালো হয়।

কুষ্টিয়া আদালতের ইন্সপেক্টর জহুরুল ইসলাম বলেন, “আব্দুল মান্নানকে জামিন দেওয়ার প্রতিবাদে আদালত চত্বরে মানববন্ধন করেছেন ছাত্র-জনতা। ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। এতে আহত ইয়ামিন আলী কুষ্টিয়া মডেল থানায় ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। ওই মামলার আসামি আব্দুল মান্নান।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, “মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল মান্নানকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। গত শনিবার আদালত তাকে জামিন দেন।”

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রসভ র

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল বিষয়ে পিছু হটল ট্রাম্প প্রশাসন

তীব্র বিরোধিতার মুখে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বিচার বিভাগের অ্যাটর্নি এলিজাবেথ কারলান ফেডারেল আদালতকে জানিয়েছেন, অভিবাসন কর্মকর্তারা এখন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন ব্যবস্থায় ভিসা পর্যালোচনা ও বাতিল নিয়ে কাজ করছেন।

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল ও পড়াশোনার আইনি অধিকার কেড়ে নেওয়ায় আদালতে ১০০টির বেশি মামলা হয়েছে। এরপরই সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দেওয়া হলো।

মার্কিন হায়ার এডুকেশনের এক হিসাবে দেখা গেছে, ২৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুমানিক ১ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীর ওপর ভিসা বাতিলের প্রভাব পড়েছে।

আরও পড়ুনতহবিল স্থগিত করা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলা২২ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের ঘোষণা দেন। এরপর অনেক শিক্ষার্থীকে জোর করে বের করে দেওয়ায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেওয়া নির্দেশনায় সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাতিলের হুমকি দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মামলা দায়ের করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ মার্কিন সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যায়। মামলার শুনানিতে গতকাল শুক্রবার এক বিচারক জানান, সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় ঐকমত্যে পৌঁছেছে এবং সরকার তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে সম্মত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলে ট্রাম্প প্রশাসনের সরে আসার সিদ্ধান্তের বিষয়ে গতকাল রাতে একটি নিউজ প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমসও। এ সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তাঁরা এখন নিরাপদে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন।

আরও পড়ুনটাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিং: দেশসেরা বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবির অবস্থান কোথায়২৫ এপ্রিল ২০২৫

শিক্ষার্থী ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণ হিসেবে তিনটি বিষয়ের কথা বলা হচ্ছে। প্রথমত, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর তীব্র বিরোধিতা। দ্বিতীয়ত, এ সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতো। তৃতীয়ত, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন মহল থেকে চাপ।

এর আগে শিক্ষার্থী ভিসা (স্টুডেন্ট ভিসা) নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো ছিল—১. যেসব শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস করবেন, তাঁদের ভিসা বাতিল করা হবে; ২. যাঁরা শুধু অনলাইন কোর্সে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না; ৩. যাঁরা অনলাইন ও অফলাইন উভয় পদ্ধতিতে ক্লাস করবেন, তাঁদের ভিসা বাতিল হবে না; ৪. এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে প্রায় ১০ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হতো।

আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে জেলায় জেলায় হচ্ছে স্বতন্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র২৪ এপ্রিল ২০২৫

ট্রাম্প প্রশাসনের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তের পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চের পর থেকে ১৭৪ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১ হাজার ১০০ শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হয়। এর ফলে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে থাকার বৈধতা হারিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত যদি বহাল থাকত, তাহলে প্রায় ১০ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে হতো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জয়পুরহাটে ইটভাটার ধোঁয়ায় ধানখেত নষ্টের অভিযোগ, ক্ষতিপূরণের দাবিতে সড়ক অবরোধ
  • চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় বাংলাদেশের
  • মা হতে যাচ্ছেন শিরিন
  • চ্যাম্পিয়নস লিগে ৮ বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন রোনালদো
  • কেন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন সোহেল আরমান
  • গাছ থেকে লাফিয়ে বিজয়ের গাড়ির ওপরে ভক্ত (ভিডিও)
  • স্ত্রীকে হত্যার পর শ্বশুরকে লাশ নিয়ে যেতে বলা সেই স্বামী গ্রেপ্তা
  • আবার শাস্তি পেলেন তাওহিদ হৃদয়
  • শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল বিষয়ে পিছু হটল ট্রাম্প প্রশাসন