নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২৫’ পালিত হয়েছে। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) দিবসটি উপলক্ষে নোবিপ্রবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে র‌্যালি ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে  বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস: প্রোটেকটিং ইনোভেশন ইন এ গ্লোবাল ইকোনমি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নোবিপ্রবি কেন্দ্রে অংশ নেবেন ১২ হাজার ৫২২ জন

নোবিপ্রবিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সূর্যমুখী

আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড.

আসাদুন নবীর সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর সরকার, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. আবদুল কাইয়ুম মাসুদ প্রমুখ।

অতিরিক্ত পরিচালক জনাব জি এম রাকিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে কি-নোট স্পিকার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামিম আহমেদ দেওয়ান, আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) এসপিকিউএ ডিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক আকরাম আলী খান এবং প্যাটেন্টস, ডিজাইন্স অ্যান্ড ট্রেড মার্কস্ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. বেলাল হোসেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, “মেধাস্বত্ব অর্জনের প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে আমাদের আরো স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন। একইসঙ্গে আমাদের শিক্ষকরা তাদের গবেষণার ফলকে মাঠ পর্যায়ে নিয়ে আসবেন এবং বাণিজ্যিকীকরণ করবেন। পেটেন্ট হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান যেমন বাড়বে তেমনি এটি ব্যক্তিগত প্রোফাইলকেও সমৃদ্ধ করবে। একই সঙ্গে  বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিয়ের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

তিনি বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেভেলে পেটেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি, পেটেন্ট নিয়ে ভবিষ্যতে আমরা বহুদূর এগিয়ে যাব এবং এ সেমিনারের মাধ্যমে বাস্তব ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ করতে পারব।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ ন ব প রব

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ঢাকায় ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সময় রোববার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি ইতালির রাজধানী রোম ত্যাগ করেন। সোমবার ভোর ৩টায় তাঁকে বহনকারী ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে।

শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূসও পোপের শেষকৃত্যে যোগ দেন। এর আগে শুক্রবার তিনি কাতারের দোহা থেকে রোমে যান।
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে শনিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি এবং কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড। দুই কার্ডিনাল পোপ ফ্রান্সিসের আজীবন দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, যুদ্ধ এবং পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন পৃথিবীর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন। তারা ড. ইউনূসের কাজের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।

ড. ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে বলেন, পোপ ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন। তিনি অসাধারণ মানুষ ছিলেন। এ ছাড়া জেনেভায় জাতিসংঘ অফিসের ভ্যাটিকানের সাবেক স্থায়ী পর্যবেক্ষক কার্ডিনাল তোমাসি শনিবার ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

এর আগে বিকেলে ভ্যাটিকানের আন্তঃধর্মীয় সংলাপবিষয়ক দপ্তরের প্রধান কার্ডিনাল কুভাকাড রোমে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হোটেলে সাক্ষাৎ করেন। ভারতের কেরালা রাজ্য থেকে কার্ডিনাল হওয়া কুভাকাড জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে ক্যাথলিক চার্চের উদ্যোগে একটি আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে, যেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা অংশ নেবেন।

ড. ইউনূস বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে অব্যাহত সংলাপের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতি দেশের প্রতিশ্রুতি এবং জাতি, ধর্ম-বর্ণ, লিঙ্গনির্বিশেষে সব নাগরিকের অধিকার রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।

এদিকে শনিবার ড. ইউনূসের সঙ্গে রোমে তাঁর হোটেলে সাক্ষাৎ করেন উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেটকিন। পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার পর তাদের এই সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক আগ্রহের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতি এবং লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ