লোডশেডিং হবে শহরেও, সহনীয় মাত্রায় রাখার চেষ্টা চলছে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
Published: 27th, April 2025 GMT
লোডশেডিং শুধু গ্রামে নয় শহরেও হবে, কারণ এখন ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সাড়ে ১৬ হাজার উৎপাদন হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “চাহিদা বেড়ে গেলে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বাড়িয়ে সেটাকে মেটানো হবে। তবে লোডশেডিং যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে চেষ্টা করা হচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ১৫ জেলা অন্ধকারে
লোডশেডিং সহনীয় মাত্রায় থাকবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, “আরো দুই কার্গো এলএনজি আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা আনতে পারলে গ্যাস সংকট কমবে।”
এদিকে, শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ‘সেমিনার অন এনার্জি ক্রাইসিস: ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি বলেছিলেন, “গরমকালে লোডশেডিং সহনীয় মাত্রায় রাখার চেষ্টা করব। তবে সম্পূর্ণরূপে লোডশেডিং ফ্রি হবে না। এটার জন্য যা করণীয় সেটাই করব। আমরা বাড়তি এলএনজি ও কয়লা আনার চেষ্টা করছি। জ্বালানি তেলের ব্যবহার সীমিত রাখা হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “আমরা লোডশেডিং সীমিত রাখার চেষ্টা করব। আমাদের ১৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। সেখানে ১৭৯ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৮০০০ মেগাওয়াট। এজন্য আমরা বাড়তি এলএনজি ও কয়লা আনার চেষ্টা করছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনীতি নিম্নমুখী ছিল, এখন আর নেই। আমরা আশা করছি, এটা ম্যানেজ করতে পারব। তবে লোডশেডিং হবে না-এটা বলতে পারব না। কিন্তু লোডশেডিং সহনীয় মাত্রায় থাকবে। একই সঙ্গে গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না।”
ফাওজুল কবির খান বলেন, “যেকোনো সময় একটা বড় পাওয়ার প্ল্যান্ট বসে যেতে পারে। গরমকালে এগুলো বেশি হয়। সেগুলো মাথায় রেখেই এলএনজি আমদানি করবো।তারপর কয়লা আমদানি করব। আমরা সবদিক থেকেই চেষ্টা করছি, আমরা জ্বালানি আমদানি করতে পারব। তবে সম্পূর্ণরূপে লোডশেডিং ফ্রি হবে না।”
তিনি বলেন, “আমাদের খরচ কমাতে হবে। সেজন্য আমাদের জ্বালানি তেলের ব্যবহার মিনিমাম রেখে লোডশেডিং সহনীয় মাত্রায় রাখা হবে। একটা জিনিস মনে রাখবেন-ক্রাইসিস বলেই রাজনীতিবিদদের সুবিধা হয়। পাওয়ারে থাকে ক্রাইসিসের নাম করেই। তাই ক্রাইসিস শব্দটি ব্যবহারের আগে একটা মাত্রা থাকতে হবে। ক্রাইসিস কখনো সমস্যা সমাধান করে না, বরং উল্টোটা হয়। এটাকে অনেকেই সুযোগ হিসেবে দেখে। ফলে ছোট একটা ক্রাইসিস বড় ক্রাইসিসে পরিণত হয়।”
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট সহন য় ম ত র য় উপদ ষ ট আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।