বন্ধ ঘোষণার এক দিন পর আশুলিয়ার সেই কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
Published: 27th, April 2025 GMT
ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় ন্যাচারাল গ্রুপের ‘ন্যাচারাল উল ওয়্যারস লিমিটেড’ কারখানাটি বন্ধ ঘোষণার এক দিন পর আবার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার এক নোটিশে কাল সোমবার থেকে কারখানা খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও ধর্মঘটের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬–এর ১৩(১) ধারায় গতকাল শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পূর্বঘোষণা ছাড়াই কারখানার ফটকে ওই নোটিশ দেখতে পেয়ে শ্রমিকেরা কয়েক ঘণ্টা অবস্থানের পর বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন।
আজ রোববার কারখানার সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) সৈয়দ মিলাদুল হুদা স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, ‘ন্যাচারাল উল ওয়্যারস লিমিটেডে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) মো.
কারখানার একাধিক শ্রমিক জানান, গতকাল সকালে কারখানার সামনে গিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পান তাঁরা। পরে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কারখানার পাশে একটি মাঠে অবস্থান করে ফিরে যান। বিকেলের দিকে আবার কারখানার সামনে গেলে পুলিশ ও কারখানার কয়েকজন কর্মকর্তা মালিকের সঙ্গে কথা বলে কারখানা খোলার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান। আজ সকালে কারখানার সামনে গিয়ে জানতে পারেন, কাল (সোমবার) থেকে কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরে কারখানার একাধিক কর্মকর্তা শ্রমিকদের কাল থেকে কাজে যোগ দেওয়ার কথা জানান।
ন্যাচারাল গ্রুপের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স) মো. রাকিবুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে বেতন–সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারখানার সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। পরে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হওয়ায় কাল থেকে কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনআশুলিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের অবস্থান২৬ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত র সহক র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
দরুদ পাঠের সওয়াব
আল্লাহর নবীকে (সা.) কেউ সালাম পাঠালে এবং তাঁর ওপর দরুদ পাঠ করা হলে, তা তাঁর অবিদিত থাকে না। বরং হাদিসে আছে, আল্লাহর অনেক ফেরেশতা জমিনে বিচরণরত আছেন। উম্মতের সালাম তারা নবীজির (সা.) কাছে পৌঁছে দেন (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ১,২৮১)। এমনকি এক হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) নিজেই সালামের উত্তর দেন। কীভাবে? আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে কেউ আমাকে সালাম পাঠালেই আল্লাহ আমার রুহ ফিরিয়ে দেবেন, যেন আমি তার সালামের উত্তর দিতে পারি।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২,০৪১)
কেউ আল্লাহর রাসুলের (সা.) নামে দরুদ ও সালাম পাঠালে প্রতিদান স্বরূপ আল্লাহ তাঁর ওপর দশবার দয়া করেন (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪০৮)। নবীজির (সা.)দীর্ঘ দিনের খাদেম আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে পাওয়া যায়, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার প্রতি একবার দরুদ পড়বে, আল্লাহ তাকে দশবার রহমত করবেন এবং তার দশটি পাপ ক্ষমা করবেন এবং বেহেশতে তার মর্যাদা দশ স্তর বৃদ্ধি করে দেবেন।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ১,২৯৬)
আরও পড়ুনকেন দরুদ পাঠ করব১৫ মার্চ ২০২৫আবু তালহা (রা.) বলেন, একদিন রাসুল (সা.) এলেন। তাঁর চেহারাজুড়ে ছড়িয়ে ছিল খুশির আভা। আমরা বললাম, ‘আপনার চেহারায় খুশির আভা দেখছি, আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘আমার কাছে ফেরেশতা এসে বললেন, ‘মুহাম্মদ(সা.), আপনার প্রতিপালক বলেছেন, ‘এটা কি আপনাকে সন্তুষ্ট করবে না যে, কেউ আপনার ওপর একবার দরুদ পড়লে আমি তাকে দশবার রহমত করব, আর একবার আপনার ওপর শান্তি বর্ষণের প্রার্থনা করলে আমি তার ওপর দশবার শান্তি বর্ষণ করব?’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ১,২৮২)
একইভাবে যারা দরুদ পড়ে না, তাদের বিষয়েও সতর্কতা জানিয়েছেন নবীজি (সা.)। বলেছেন, ‘ধ্বংস হোক তাঁর, যার সামনে আমার আলোচনা হয়, অথচ আমার প্রতি দরুদ পড়ে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৪৫)
মহানবীর দৌহিত্র হোসাইন ইবনে আলি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কৃপণ তো সে, যার সামনে আমার আলোচনা হয়, অথচ আমার প্রতি দরুদ পড়ে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৪৬)
আরও পড়ুননামাজের ভেতরে দরুদ পড়ার নিয়ম০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫