যেভাবে বনাঞ্চলের গাছ কেটে পাচার করা হয় হাতি দিয়ে
Published: 27th, April 2025 GMT
বান্দরবান সদর উপজেলার টঙ্কাবতী এলাকায় কাঠ পাচারকারীরা পাহাড়ের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল কেটে উজাড় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্গম পাহাড়ে বনাঞ্চলের গাছ নির্বিচারে কেটে হাতি দিয়ে টেনে যানবাহন চলাচলের উপযোগী রাস্তায় নিয়ে এসে পাচার করছে পাচারকারীরা। প্রায় তিন মাস ধরে হাতিসহ আস্তানা গেড়ে বন উজাড় ও গাছ পাচারের কাজ চলছে বলে স্থানীয় ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
বান্দরবান-সুয়ালক-লামা সড়কে জেলা শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে রঙ্গি খাল। খাল ধরে আরও প্রায় চার কিলোমিটার গেলে জুংলাই পাড়ার কিছু দূরে চিম্বুক রেঞ্জের সীতাপাহাড়ের পাদদেশে একটি বাঁশের তৈরি ঝুপড়ির দেখা মেলে। পথ দেখিয়ে নিয়ে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গাছ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকদের জন্য এই অস্থায়ী ডেরা তৈরি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, নির্জন বনে বাঁশের তৈরি ওই ঘরে শ্রমিকদের কাপড়চোপড়, রান্নার হাঁড়িপাতিল ও হাতি বেঁধে রাখার রশি পড়ে আছে। লোকজন হাতিসহ পাহাড়ের বনাঞ্চলে যাওয়ায় আস্তানায় কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ফেরার পথে কয়েকজন কাঠশ্রমিকের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়।
বনের ভেতরে গাছ পাচারকারীদের তৈরি অস্থায়ী ঘর। গতকাল দুপুরে বান্দরবানের সদর উপেজলার টঙ্কাবতীর রঙ্গি খালের পড়ে।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দরুদ পাঠের সওয়াব
আল্লাহর নবীকে (সা.) কেউ সালাম পাঠালে এবং তাঁর ওপর দরুদ পাঠ করা হলে, তা তাঁর অবিদিত থাকে না। বরং হাদিসে আছে, আল্লাহর অনেক ফেরেশতা জমিনে বিচরণরত আছেন। উম্মতের সালাম তারা নবীজির (সা.) কাছে পৌঁছে দেন (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ১,২৮১)। এমনকি এক হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) নিজেই সালামের উত্তর দেন। কীভাবে? আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে কেউ আমাকে সালাম পাঠালেই আল্লাহ আমার রুহ ফিরিয়ে দেবেন, যেন আমি তার সালামের উত্তর দিতে পারি।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২,০৪১)
কেউ আল্লাহর রাসুলের (সা.) নামে দরুদ ও সালাম পাঠালে প্রতিদান স্বরূপ আল্লাহ তাঁর ওপর দশবার দয়া করেন (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪০৮)। নবীজির (সা.)দীর্ঘ দিনের খাদেম আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে পাওয়া যায়, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার প্রতি একবার দরুদ পড়বে, আল্লাহ তাকে দশবার রহমত করবেন এবং তার দশটি পাপ ক্ষমা করবেন এবং বেহেশতে তার মর্যাদা দশ স্তর বৃদ্ধি করে দেবেন।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ১,২৯৬)
আরও পড়ুনকেন দরুদ পাঠ করব১৫ মার্চ ২০২৫আবু তালহা (রা.) বলেন, একদিন রাসুল (সা.) এলেন। তাঁর চেহারাজুড়ে ছড়িয়ে ছিল খুশির আভা। আমরা বললাম, ‘আপনার চেহারায় খুশির আভা দেখছি, আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘আমার কাছে ফেরেশতা এসে বললেন, ‘মুহাম্মদ(সা.), আপনার প্রতিপালক বলেছেন, ‘এটা কি আপনাকে সন্তুষ্ট করবে না যে, কেউ আপনার ওপর একবার দরুদ পড়লে আমি তাকে দশবার রহমত করব, আর একবার আপনার ওপর শান্তি বর্ষণের প্রার্থনা করলে আমি তার ওপর দশবার শান্তি বর্ষণ করব?’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ১,২৮২)
একইভাবে যারা দরুদ পড়ে না, তাদের বিষয়েও সতর্কতা জানিয়েছেন নবীজি (সা.)। বলেছেন, ‘ধ্বংস হোক তাঁর, যার সামনে আমার আলোচনা হয়, অথচ আমার প্রতি দরুদ পড়ে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৪৫)
মহানবীর দৌহিত্র হোসাইন ইবনে আলি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কৃপণ তো সে, যার সামনে আমার আলোচনা হয়, অথচ আমার প্রতি দরুদ পড়ে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৪৬)
আরও পড়ুননামাজের ভেতরে দরুদ পড়ার নিয়ম০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫