ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুবিধা ও কল্যাণার্থে পাঁচটি বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের নেতৃত্বে উপাচার্যকে এ স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি।

তাদের দাবিগুলো হলো- আবাসিক হলের ক্যান্টিনগুলোতে পরিবেশিত খাদ্যের মানোন্নয়ন; হল পাড়া ও কলা ভবনের পিছনের রাস্তার উপযুক্ত মেরামত; ক্যাম্পাসের প্রতিটি বিভাগে ফিল্টার পানি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পানির ফিল্টার স্থাপন; বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড ধারীদের জন্য ক্যাম্পাসে ফ্রি ওয়াইফাই চালুকরণ; প্রতিটি বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিতে ফটোকপি, প্রিন্টিং ও স্ক্যানিং এর সুবিধা নিশ্চিতকরণ।

আরো পড়ুন:

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবিতে ঢাবিতে সেমিনার

ঢাবিতে ছাত্রদলের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

এ সময় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নিয়াজ আহমদ খান তাদের দাবিগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেন।

স্মারকলিপি প্রদানকালে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মাসুম বিল্লাহ, মো. আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন শাওন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. শামিম আকতার শুভ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর আলম ভূঁইয়া ইমন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম রকল প উপ চ র য ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

দরুদ পাঠের সওয়াব

আল্লাহর নবীকে (সা.) কেউ সালাম পাঠালে এবং তাঁর ওপর দরুদ পাঠ করা হলে, তা তাঁর অবিদিত থাকে না। বরং হাদিসে আছে, আল্লাহর অনেক ফেরেশতা জমিনে বিচরণরত আছেন। উম্মতের সালাম তারা নবীজির (সা.) কাছে পৌঁছে দেন (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ১,২৮১)। এমনকি এক হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) নিজেই সালামের উত্তর দেন। কীভাবে? আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে কেউ আমাকে সালাম পাঠালেই আল্লাহ আমার রুহ ফিরিয়ে দেবেন, যেন আমি তার সালামের উত্তর দিতে পারি।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২,০৪১)

কেউ আল্লাহর রাসুলের (সা.) নামে দরুদ ও সালাম পাঠালে প্রতিদান স্বরূপ আল্লাহ তাঁর ওপর দশবার দয়া করেন (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪০৮)। নবীজির (সা.)দীর্ঘ দিনের খাদেম আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে পাওয়া যায়, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার প্রতি একবার দরুদ পড়বে, আল্লাহ তাকে দশবার রহমত করবেন এবং তার দশটি পাপ ক্ষমা করবেন এবং বেহেশতে তার মর্যাদা দশ স্তর বৃদ্ধি করে দেবেন।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ১,২৯৬)

আরও পড়ুনকেন দরুদ পাঠ করব১৫ মার্চ ২০২৫

আবু তালহা (রা.) বলেন, একদিন রাসুল (সা.) এলেন। তাঁর চেহারাজুড়ে ছড়িয়ে ছিল খুশির আভা। আমরা বললাম, ‘আপনার চেহারায় খুশির আভা দেখছি, আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘আমার কাছে ফেরেশতা এসে বললেন, ‘মুহাম্মদ(সা.), আপনার প্রতিপালক বলেছেন, ‘এটা কি আপনাকে সন্তুষ্ট করবে না যে, কেউ আপনার ওপর একবার দরুদ পড়লে আমি তাকে দশবার রহমত করব, আর একবার আপনার ওপর শান্তি বর্ষণের প্রার্থনা করলে আমি তার ওপর দশবার শান্তি বর্ষণ করব?’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ১,২৮২)

একইভাবে যারা দরুদ পড়ে না, তাদের বিষয়েও সতর্কতা জানিয়েছেন নবীজি (সা.)। বলেছেন, ‘ধ্বংস হোক তাঁর, যার সামনে আমার আলোচনা হয়, অথচ আমার প্রতি দরুদ পড়ে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৪৫)

মহানবীর দৌহিত্র হোসাইন ইবনে আলি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কৃপণ তো সে, যার সামনে আমার আলোচনা হয়, অথচ আমার প্রতি দরুদ পড়ে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৪৬)

আরও পড়ুননামাজের ভেতরে দরুদ পড়ার নিয়ম০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ