তিন মন্ত্রণালয়ের জন্য উপদেষ্টার জরুরি নির্দেশনা
Published: 27th, April 2025 GMT
যেকোনো ধরনের গ্রাহক ও যাত্রীসেবা ব্যাহত হলে অনতিবিলম্বে টেলিভিশনে স্ক্রলে প্রচারের ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দিয়েছেন সড়ক, রেল ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
উপদেষ্টা আরো বলেন, “গ্রাহক ও যাত্রীসেবা পুনরায় চালু হলে সেটি টেলিভিশন স্ক্রলের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়ে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।”
রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা দপ্তর থেকে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ এবং রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কার্ডিনাল প্রিফেক্ট কুভাকাডের সাক্ষাৎ
লোডশেডিং সহনীয় মাত্রায় থাকবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে পুনরায় চালু হয়। অন্যদিকে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুতের ব্ল্যাক আউট হয় ও সন্ধ্যা ৭টায় পুনরায় চালু হয়। দুইটি ক্ষেত্রেই কোনও সচিব কিংবা সংস্থা প্রধান উপদেষ্টাকে বিষয়টি জানাননি।তিনি বিষয় দুইটি সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মারফত জানতে পারেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে যেকোনো ধরনের গ্রাহক ও যাত্রীসেবা বিঘ্নের ঘটনা টেলিভিশনে স্ক্রলের মাধ্যমে অনতিবিলম্বে জানাতে হবে। একই সঙ্গে নির্দেশনায় আরো বলা হয়- মনে রাখতে হবে গ্রাহক ও যাত্রীসেবা আমাদের দয়া নয়, বরং দায়।
মেট্রোরেল ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান তীব্র প্রকাশ করেছেন বলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। তিনি কৈফিয়ত চেয়েছেন, কেন এই সেবা বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়টি যাত্রীদের জানানো হয়নি এবং কেন দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি। ভবিষ্যতে এমন ধরনের পরিস্থিতি এড়াতেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট গ র হক ও য ত র স ব উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ঢাকায় ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সময় রোববার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি ইতালির রাজধানী রোম ত্যাগ করেন। সোমবার ভোর ৩টায় তাঁকে বহনকারী ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে।
শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূসও পোপের শেষকৃত্যে যোগ দেন। এর আগে শুক্রবার তিনি কাতারের দোহা থেকে রোমে যান।
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে শনিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি এবং কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড। দুই কার্ডিনাল পোপ ফ্রান্সিসের আজীবন দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, যুদ্ধ এবং পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন পৃথিবীর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন। তারা ড. ইউনূসের কাজের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
ড. ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে বলেন, পোপ ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন। তিনি অসাধারণ মানুষ ছিলেন। এ ছাড়া জেনেভায় জাতিসংঘ অফিসের ভ্যাটিকানের সাবেক স্থায়ী পর্যবেক্ষক কার্ডিনাল তোমাসি শনিবার ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
এর আগে বিকেলে ভ্যাটিকানের আন্তঃধর্মীয় সংলাপবিষয়ক দপ্তরের প্রধান কার্ডিনাল কুভাকাড রোমে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হোটেলে সাক্ষাৎ করেন। ভারতের কেরালা রাজ্য থেকে কার্ডিনাল হওয়া কুভাকাড জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে ক্যাথলিক চার্চের উদ্যোগে একটি আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে, যেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা অংশ নেবেন।
ড. ইউনূস বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে অব্যাহত সংলাপের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতি দেশের প্রতিশ্রুতি এবং জাতি, ধর্ম-বর্ণ, লিঙ্গনির্বিশেষে সব নাগরিকের অধিকার রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
এদিকে শনিবার ড. ইউনূসের সঙ্গে রোমে তাঁর হোটেলে সাক্ষাৎ করেন উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেটকিন। পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার পর তাদের এই সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক আগ্রহের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতি এবং লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তারা।