ভারতের তামিলনাড়ুর রাজ্য সরকার কাঁচা ডিম দিয়ে তৈরি মেয়োনিজের উৎপাদন ও বিক্রি এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার পর কর্ণাটকের চিকিৎসকরা এটিকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ খাবার’ উল্লেখ করে রাজ্য সরকারকে নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

চিকিৎসকরা বলেন, কাঁচা ডিমের মেয়োনিজে সালমোনেলা টাইফিমিউরিয়াম, সালমোনেলা এন্টারিটিডিস, ইশেরিকিয়া কোলাই এবং লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজেনেস জাতীয় জীবাণু পাওয়া গেছে। যাতে বমি, পেটের সমস্যা এবং জ্বরের মতো রোগ হতে পারে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তে সংক্রমণ ঘটিয়ে এটি প্রাণঘাতীও হতে পারে। 

এর আগে ২০০৬ সালের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্টের ধারার ৩০(২)(ক)-এর অধীনে গত ৮ এপ্রিল থেকে তামিলনাড়ু সরকার কাঁচা ডিম দিয়ে তৈরি মেয়োনিজের উৎপাদন ও বিক্রি এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে।

ওই ধারায় বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার কোনো খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ বা বিক্রয় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করতে পারবেন।

আইন অনুযায়ী, খাদ্য ব্যবসায়ীদের নিশ্চিত করতে হবে, তাদের উপাদানসমূহ নিরাপদ। উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিক্রয় বা বিতরণের সময় কোনো অসম্পূর্ণ, ভুল লেবেলযুক্ত বা নিম্নমানের খাবার বিক্রি করা যাবে না এবং খাদ্যের মধ্যে কোনো বিদেশি পদার্থ থাকাও চলবে না। 

গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা.

মানস কুমার মণ্ডল বলেন, কাঁচা ডিম কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। রান্না করেই ডিম খাওয়া উচিত। 

তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ডিমের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। তখন আর সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে না। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপদ মাতৃত্বে ভূমিকা রাখছে ওজিএসবি

দেশে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে অবেসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলোজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)। চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবায় সরকারকে নীতি সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে সংগঠন। শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম নগরের এক পাঁচ তারকা হোটেলে পেশাজীবী চিকিৎসকদের সংগঠন ওজিএসবি চট্টগ্রাম শাখার আয়োজিত দুই দিনের আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের শেষ অধিবেশনে এসব কথা বলেন অতিথিরা।

এবারের সম্মেলনে ভারত-পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ দেশ-বিদেশের পতিতযশা আড়াই শতাধিক স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশ নেন। ওজিএসবি চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুন নেসা রুনার সভাপতিত্বে সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, সান শাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ বলেন, ‘দেশের মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের পেছনে ওজিএসবির বড় অবদান রয়েছে। গবেষণাতেও এই সংগঠনের সদস্যদের অবদান রয়েছে। আশা করছি, দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিতে সংগঠনটি আরও বড় ভ‚মিকা রাখবে।’ 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ওজিএসবির প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক ডা. শামসুন নাহার, অধ্যাপক ডা. সালেহা বেগম চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগম, অধ্যাপক ডা. মারুফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা, অধ্যাপক ডা. বেগম রোকেয়া আনোয়ার, অধ্যাপক ডা. ফওজিয়া হোসেন, অধ্যাপক ডা. সামিনা চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. দিপি বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. আফজালুন্নেসা চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. ডালিয়া আকতার, ওজিএসবি চট্টগ্রাম শাখার সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. শর্মিলা বড়ুয়া প্রমুখ।

এর আগে সকালে শুরু হওয়া দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রসূতি ও স্ত্রী রোগের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ও তার প্রতিকারের দিকনির্দেশনা বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় নারী স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। গত ২৪ এপ্রিল শুরু হওয়া সেমিনারের প্রথম দিনে বিশ্বব্যাপী এবং বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ গর্ভকালীন উচ্চরক্তচাপ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা বিষয়ে আলোচনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪৮তম বিসিএসে দুই হাজার চিকিৎসকের বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই, দ্রুত নিয়োগ
  • প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপদ মাতৃত্বে ভূমিকা রাখছে ওজিএসবি