নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
Published: 27th, April 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াতে ইসলামী। সিসি ক্যামেরা বসাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা চেয়েছে দলটি।
রোববার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকা নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। এ সময় ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়।
চলতি মাসের শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদরদপ্তর ব্রাসেলসে সফর করেন জামায়াত আমির এবং নায়েবে আমির ডা.
তিনি বলেন, ব্রাসেলস সফরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নারী অধিকার, সংখ্যালঘু এবং প্রধান রপ্তানি খাত গার্মেন্টস বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান জানতে চেয়েছিল। জামায়াত তাদের স্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছে।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ডা. তাহের বলেছেন, আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক ইইউকে অনুরোধ করেছে জামায়াত। প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে সহযোগিতা চেয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি এবং এক ব্যক্তি যেন দু’বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন- এসব বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান জানানো হয়েছে।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে জামায়াত। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ডা. তাহের বলেছেন, কমিশনের সুপারিশে যৌনকর্মীদের পেশাকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা হয়েছে। যা নারীর মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি চরম আঘাত। ইইউ রাষ্ট্রদূত জামায়াতের এই অবস্থানের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ৪৩ শতাংশই নারী। এ বিষয়কেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইউরোপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে আলোচনা হয়েছে বলে জামায়াতের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’
ক্যাম্পাসে মানবাধিকার সুরক্ষা ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’। রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রার কথা জানানো হয়।
‘রাইজ ফর রাইটস (অধিকারের জন্য জাগো)’ স্লোগানকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার সংগঠনটির ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। রোববার সংবাদ সম্মেলনে ওই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন এই সংগঠনের আহ্বায়ক হয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ সাকিব। সদস্যসচিব করা হয়েছে ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের শিক্ষার্থী পত্র নন্দিতাকে। এ ছাড়া ইসমাঈল নাহিদ যুগ্ম আহ্বায়ক আর রুকাইয়া রচনা যুগ্ম সদস্যসচিব হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে গণরুম, গেস্টরুম সংস্কৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আর কখনো এই সংস্কৃতি যেন ফেরত না আসে, সেই লক্ষ্যে কাজ করবে সংগঠনটি।
সংগঠনের আহ্বায়ক তাহমিদ সাকিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, সংখ্যালঘু অধিকারও জাতিগত সম্প্রীতি রক্ষা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও প্রয়োজনে আইনি পরামর্শ প্রদানসহ ক্যাম্পাসে মানবাধিকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটলে সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
তাহমিদ সাকিব বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থী নিপীড়নের ঘটনাগুলো আমরা দেখেছি। বিভিন্ন সময় যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেগুলোর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা আমরা দেখিনি। নারী শিক্ষার্থীরা এখনো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। অসংখ্য নারী নিপীড়নের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের ঘটনা আমরা দেখি না। এই সংগঠনটি এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্যসচিব পত্র নন্দিতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কম নয়, বরং অহরহ ঘটে। বিশেষ করে রাজনৈতিক পরিসরে। এর বাইরে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতেও এটা বিদ্যমান। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, ডকুমেন্টেশন এবং অধিকার আদায়ে কাজ করবে তাঁদের এই সংগঠন।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে আরও আছেন তাপসী রাবেয়া, হুরে জান্নাত, তাজফিহা উখরোজ, সামিয়া মাসুদ, সুরমি চাকমা, নাফিসা নুজহাত, ইসরাত জাহান, আবদুল্লাহ আজিমসহ আরও অনেকে।