কোচিং ক্যারিয়ারে আগেও ট্রেবল জয়ের স্বাদ পেয়েছেন হ্যান্সি ফ্লিক। এবার বার্সেলোনার ডাগআউটে বসে সেই কীর্তি আবার ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছেন জার্মান কোচ। কোপা দেল রে’র ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম ট্রফি তুলে নিয়েছে বার্সা। সামনে রয়েছে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের সুযোগ।

একই মৌসুমে লিগ, ঘরোয়া কাপ ও ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতলে সেটিই ‘ট্রেবল’ হিসেবে স্বীকৃত। বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হিসেবে ২০১৯-২০ মৌসুমে এই কীর্তি গড়েছিলেন ফ্লিক। বার্সেলোনা নিজেদের ইতিহাসে দুবার ট্রেবল জিতেছে—২০০৮-০৯ মৌসুমে পেপ গার্দিওলার অধীনে এবং ২০১৪-১৫ মৌসুমে লুইস এনরিকের তত্ত্বাবধানে।

এবারও সেই ইতিহাস পুনরাবৃত্তির পথে এগোচ্ছে কাতালান ক্লাবটি। কোপা দেল রে জয়ের পর ফ্লিক বলেছেন, ‘এখন উদযাপন করব। তারপর বিশ্রাম নিয়ে কঠোর পরিশ্রম শুরু করব। আমাদের সামনে দারুণ সুযোগ রয়েছে ট্রেবল জয়ের।’

লা লিগায় আর পাঁচ ম্যাচ বাকি বার্সেলোনার। বর্তমানে তারা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে আছে। আগামী শনিবার ভায়াদোলিদের বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সা। মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকো হবে ১১ মে, বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ১৫ মিনিটে। সেই ম্যাচে অনেকটাই নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে লা লিগার শিরোপার ভাগ্য।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। বুধবার প্রথম লেগ এবং ৬ মে ফিরতি লেগে মাঠে নামবে দুই দল। ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন সত্যি করতে এখন আর মাত্র কয়েক ধাপ দূরে ফ্লিকের বার্সেলোনা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট র বল জ

এছাড়াও পড়ুন:

ইমরান খানের ওপর গুলি চালানো নাভিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের ওপর হামলার প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দুটি পৃথক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৫ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। গুজরানওয়ালার একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত গত শনিবার এ সাজা ঘোষণা করেছেন।

পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর পিটিআইয়ের বিক্ষোভের সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নাভিদ বশীর নামের এক বন্দুকধারীর গুলিতে ইমরান খান, সিনেটর ফয়সাল জাভেদসহ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় পিটিআইয়ের একজন কর্মী নিহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলেই প্রধান হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে।

ইমরান খান তখনকার ফেডারেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ জোট সরকারকে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। ঘটনাটির প্রথম এফআইআর ৭ নভেম্বর ওয়াজিরাবাদের সিটি থানায় দায়ের করা হয় এবং ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় একটি যৌথ তদন্ত দল (জেআইটি) গঠন করা হয়।

সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাঈম সেলিম গত শনিবার শুনানি শেষে মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালত প্রধান অভিযুক্ত নাভিদকে হত্যা ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দুটি পৃথক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। অপর দুই অভিযুক্ত তৈয়ব জাহাঙ্গীর বাট ও ওয়াকাস খালাস পান।

গুজরানওয়ালা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপারিনটেনডেন্টের উদ্দেশে জারি করা সাজা কার্যকরের ওয়ারেন্ট অনুযায়ী, নাভিদকে পাকিস্তান দণ্ডবিধির (পিপিসি) ৩০২বি ধারা (পরিকল্পিত হত্যা) এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (এটিএ) ৭এ ধারা (সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য শাস্তি) অনুযায়ী পৃথকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ