রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে বায়ুদূষণ রোধে কেন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এই আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো.

মনির উদ্দিন। এর আগে তিনি ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেন।

ওই চিঠি অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পরে মনির উদ্দিন হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। রিটে বলা হয়, গত নয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ বায়ুমানের রেকর্ড হয়েছে ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকায়। ওইদিন শহরের গড় বায়ুমান সূচক (AQI) ছিল ২৮৮, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে পড়ে। 

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, বায়ুমান সূচক ০-৫০ থাকলে বাতাস বিশুদ্ধ ধরা হয়, ৫১-১০০ হলে তা সহনীয় বা গ্রহণযোগ্য, ১০১-১৫০ হলে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং ২০১-৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সূচক ৩০১ বা তার বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। 

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান তিনটি উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণসাইটের ধুলাবালি। রিটে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, সারা বিশ্বের ১২৪টি দূষিত শহরের মধ্যে ঢাকাকে দূষণের দিক থেকে প্রথম অবস্থানে দেখা যায়। ওইদিন ঢাকার গড় বায়ুমান সূচক ছিল ২৫০।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে থাকা ঢাকার পরিস্থিতি দিন দিন আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠছে। পরিবেশগত দিক বিবেচনায় বায়ুদূষণ রোধে দ্রুত কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা না নিলে অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হতে পারে–এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য রিটে বলা হয়েছে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক র যকর ব যবস থ গ রহণ র

এছাড়াও পড়ুন:

বুড়িগঙ্গায় মানুষের হাত-পায়ের টুকরো উদ্ধার

বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে রোববার দুপুরে পলিথিনে মোড়ানো মানুষের দুটি হাত ও দুটি পায়ের টুকরো উদ্ধার করেছে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ। এটি শুক্রবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আগানগর মাকসুদা গার্ডেন সিটির সামনে থেকে একটি বস্তায় উদ্ধার হওয়া নারীর খণ্ডিত লাশের অংশবিশেষ হতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

রাজধানীর পোস্তগোলা ব্রিজের উত্তর পাশে আরসিন গেট বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় থেকে হাত-পা গুলো উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হাত-পায়ের সুরতহাল শেষে মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের ইনচার্জ মো. সোহাগ রানা বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর পানি কমে যাওয়ায় পাড়ে একটি পলিথিনে মোড়ানো মানুষের হাত পা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সেগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, কেরানীগঞ্জে বস্তার ভেতরে উদ্ধার হওয়া নারীর খণ্ডিত লাশের অংশবিশেষ হতে পারে। তবে ডিএনএ পরীক্ষা করার পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

দুই দিন আগে শুক্রবার গভীর রাতে আগানগর কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লী এলাকায় আসমা গার্ডেন সিটির সামনে বস্তার ভেতর থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মাথা হাত ও পাবিহীন অংশবিশেষ উদ্ধার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ