সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার ৬২ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪০০ জনকে এই পদক দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ২৯ এপ্রিল রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধন এবং বিপিএম-পিপিএম পদক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মোট চারটি ক্যাটাগরিতে পুলিশ পদক দেওয়া হয়। এগুলো হলো—বিপিএম-সাহসিকতা, বিপিএম-সেবা, পিপিএম-সাহসিকতা ও পিপিএম-সেবা। পদক দেওয়ার জন্য এবার পুলিশ সদর দপ্তর সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি নাম চূড়ান্ত করলে সেই তালিকা অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পদকপ্রাপ্তদের নাম চলতি সপ্তাহে গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।

কমিটির তালিকায় পুলিশের সদ্য সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো.

ময়নুল ইসলাম, র‍্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান, পদক প্রদান কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি (চলতি দায়িত্বে) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, কমিটির আরেক সদস্য পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিম আছেন।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪০০ জনকে বিপিএম ও পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৫ জনকে বিপিএম, ৬০ জনকে পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জনকে বিপিএম-সেবা ও ২১০ জনকে পিপিএম-সেবা দেওয়া হয়েছিল।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে প্রতিবছরই বিপুলসংখ্যক পুলিশসদস্যকে বিপিএম ও পিপিএম পদক দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বড় একটি অংশ ছিল। ফলে এই পদক নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন ওঠে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ-র‍্যাবের বিভিন্ন পদমর্যাদার ১০৩ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার করে। পদক প্রত্যাহার হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি, উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার (এসপি), র‍্যাবের কর্নেল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল, কমান্ডার ও উইং কমান্ডার পদমর্যাদার কর্মকর্তারা। পদক প্রত্যাহারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিতর্কিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ১০৩ কর্মকর্তাকে ২০১৮ সালে দেওয়া বিপিএম ও পিপিএম পদক নির্দেশক্রমে প্রত্যাহার করা হলো।

এবার পদকসংখ্যা কমানোর পাশাপাশি কমিটিতে থাকা ব্যক্তিদের পদকের জন্য মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে।

আরও পড়ুনপুলিশ কর্মকর্তারা কে, কেন, কী পুরস্কার পেলেন ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

জানতে চাইলে পদক প্রদান কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এবার পদক প্রদানের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চেয়ে মাঠপর্যায়ে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পদক প্রদান কমিটি মূলত কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি পর্যন্ত সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করেছে। ডিআইজি ও অতিরিক্ত আইজিপিদের নাম চূড়ান্ত করেছেন আইজিপি।

কমিটিতে থেকে পদকের জন্য মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে আলোচনার বিষয়ে খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। তখন যাঁরা পুলিশ পুনর্গঠনে কাজ করেছেন, সেই সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আইজিপি পদকের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন। কমিটিতে থেকে পদকের তালিকায় নিজের নাম থাকায় তিনি কিছুটা বিব্রত।

২৯ এপ্রিল পদক প্রদান

যেসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন, তাঁদের আজ রোববার সকাল ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের প্যারেড গ্রাউন্ডে হাজির হতে বলে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিভিন্ন ইউনিটে পাঠানো এ-সংক্রান্ত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিঠিতে পদকের জন্য মনোনীত ৬২ জনের নাম রয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ১ মে পর্যন্ত তিন দিনের আয়োজন রয়েছে এবারের পুলিশ সপ্তাহে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ২৯ এপ্রিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে তিনি বিপিএম ও পিপিএম পদক দেবেন।

ঊর্ধ্বতন যাঁরা পদক পাচ্ছেন

তালিকা অনুযায়ী, সদ্য সাবেক আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম এবার পদক পাচ্ছেন। নতুন আইজিপি হিসেবে তাঁর স্থলে বাহারুল আলমকে নিয়োগের পর তাঁকে (ময়নুল) পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করেছে সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশ বাহিনীর ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যে ময়নুলকে আইজিপির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

র‍্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানসহ পদক পেতে যাওয়া অতিরিক্ত আইজিপি (চলতি দায়িত্বে) পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও আছেন—পুলিশ সদর দপ্তরের আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ (হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট), মো. আকরাম হোসেন (ফিন্যান্স), খোন্দকার রফিকুল ইসলাম (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস), মোসলেহ উদ্দিন আহমদ (লজিস্টিকস অ্যান্ড অ্যাসেট অ্যাকুইজিশন), শিল্প পুলিশের মো. ছিবগাত উল্লাহ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের মো. মাইনুল হাসান।

ডিআইজি ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার ৯ কর্মকর্তা এবার পদক পাচ্ছেন। ডিআইজিদের মধ্যে আছেন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সরদার নুরুল আমিন, পুলিশ সদর দপ্তরের (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের মো. আহসান হাবীব পলাশ ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।

অতিরিক্ত ডিআইজিদের মধ্যে পদক পাচ্ছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, সিএমপির মো. আসফিকুজ্জামান আকতার, ডিএমপির মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া ও পুলিশ সদর দপ্তরের (ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট) আহম্মদ মুঈদ।

পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন—পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মো. এনায়েত হোসেন মান্নান, খাগড়াছড়ির মো. আরেফিন জুয়েল, ঢাকার মো. আনিসুজ্জামান, মাগুরার মিনা মাহমুদা, চট্টগ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম সানতু, পিবিআইয়ের মো. কুদরত-ই-খুদা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) খন্দকার ফজলে রাব্বি ও ডিএমপির রওনক আলম।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মধ্যে আছেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশে কর্মরত এম এম মোহাইমেনুর রশিদ, গাজীপুরের আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রামের রাসেল, নীলফামারীর মো. ফারুক আহমেদ ও ডিএমপির মো. জুয়েল রানা।

সহকারী পুলিশ সুপারের মধ্যে পদক পাচ্ছেন ডিএমপির এম জে সোহেল, ঢাকা জেলার মো. আশরাফুল আলম ও শিল্প পুলিশের মো. রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস।

আরও পড়ুনচৌধুরী মামুন, বেনজীর, আছাদুজ্জামানসহ পুলিশ ও র‍্যাবের সাবেক ১০৩ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫নন-ক্যাডার যাঁরা আছেন

পুলিশ পরিদর্শকদের মধ্যে পদক পাচ্ছেন গাজী গোলাম কিবরিয়া, আবদুর রাজ্জাক আকন্দ, মোহাম্মদ ফজলুল কাদের চৌধুরী, মো. শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু, মু. মাসুদুর রহমান, মো. একরামুল হোসাইন ও মো. মোস্তফা কামাল।

উপপরিদর্শকদের (এসআই) মধ্যে পদক পাচ্ছেন শ্রী বেনু রায়, মো. সুমন মিয়া, বরুন কুমার সরকার, ফিরোজ আহাম্মদ, মো. মাহমুদুল হাসান, মো. এনামুল হক, রাছিব খান, মো. রকিবুল হাসান, মো. ইমরান আহমেদ, মো. আশিকুর রহমান, মো. ইয়াসিন ও মো. আজিমুল হক।

সহকারী উপপরিদর্শকদের (এএসআই) মধ্যে পদক পাচ্ছেন মো. কামরুজ্জামান, মো. নাজমুল হুসাইন, মো. মেসবাহ উদ্দিন।

পদকের তালিকায় হাবিলদার মো. সাইফুল ইসলামের নামও রয়েছে। এ ছাড়া পদকের তালিকায় কনস্টেবলের মধ্যে আছেন মো. রুহল আমিন ভূঞা, মো. হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ জোনাইদুল হক, মো. মোবারক হোসেন ও মো. রিয়াদ হোসেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত দ র পদক প চ ছ ন কর মকর ত র পদমর য দ র ম হ ম মদ প এম স ব র পদক প ড এমপ র সরক র র র রহম ন হয় ছ ল কম ট র বছর র ময়ন ল সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে পরবর্তী রিভিউ শুনানি ১৮ মে

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নির্ধারণ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায় রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের শুনানি শেষে ১৮ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ রোববার শুনানির এদিন ধার্য করেন।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাহউদ্দীন দোলন শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। তখন আপিল বিভাগ বলেন, এর আগে অনেকবার শুনানির জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। আর সময় দেওয়া হবে না। আপনারা শুনানি শুরু করুন। পরে শুনানিতে ব্যারিস্টার সালাহউদ্দীন দোলন আপিল বিভাগের রায়ের মূল অংশবিশেষ তুলে ধরেন। এরপর শুনানি মূলতবি করে ১৮ মে ফের দিন ধার্য করা হয়েছে। এ সময় আদালতে রায় রিভিউ (পুনবিবেচনা) চেয়ে আবেদনকারী বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর।

২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে রায় দেন আপিল বিভাগ। এরপর ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে। রায়ে জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত করা হয়। অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে তাদের অবস্থান হবে ১৭ নম্বরে।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার না হয়।

প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে এর বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালে রায় দেন আপিল বিভাগ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে পরবর্তী রিভিউ শুনানি ১৮ মে