কারেন পরিবারের তিন প্রজন্ম ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কারেন ভাইদের দাদা প্যাট্রিক কারেন ছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার। তাদের পিতা কেভিন কারেন জিম্বাবুয়ের হয়ে ১১টি ওয়ানডে খেলেছেন। দুই ভাই টম কারেন ও স্যাম কারেন ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করছেন। বেন কারেনও ইংল্যান্ডে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি বেছে নেন পিতৃভূমি জিম্বাবুয়েকে। ধারেভারে ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে। তারপরও গর্বিত বেন।
 
টম কারেন ও স্যাম কারেন ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী দলে ছিলেন বড় ভাই টম। স্যাম ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছেন। সে তুলনায় বেন নতুনই। জিম্বাবুয়ের হয়ে মাত্র ১০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে এখন আছেন চট্টগ্রামে। 

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে কেন জিম্বাবুয়েকে বেছে নিয়েছেন, সে কথা শুনিয়েছেন বেন, ‘পরিবেশ-পরিস্থিতি আমাকে ইংল্যান্ড নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে কয়েক বছর খেলে (ঘরোয়া ক্রিকেট) আবার জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলার জন্য ফিরে এসেছি। যা আমার জন্য দারুণ সম্মানের ব্যাপার এবং খেলাটাকে আমি দুর্দান্ত উপভোগ করছি।’ 

পিতৃভূমি জিম্বাবুয়ে হলেও বেনের জন্ম ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনে। তাঁর বাবা সেখানকার কাউন্টি ক্লাবের হয়ে খেলতে যাওয়ার পর তাঁর জন্ম। এরপর বড় হওয়া, ক্রিকেটে হাতেখড়ি– সবই ইংল্যান্ডে। নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে কাউন্টিতে ভালোই করেছিলেন। প্রথমবার বাংলাদেশে খেলতে নেমেই জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। সিলেটে প্রথম ইনিংসে ১৮ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এ ওপেনার। 

জিম্বাবুয়েকে আরও বেশি ম্যাচ জেতাতে চান বেন, ‘জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলাটা দারুণ অনুভূতি। মাঝেমধ্যে আপনি জিতবেন। তবে চেষ্টা করে যেতে হবে যত বেশি ম্যাচ জিততে পারি এবং জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে নিতে পারি।’ 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়ার জন্য জাতীয় দলের দুই সতীর্থ ক্রেইগ আরভিন ও শন উইলিয়ামসের প্রতি কৃতজ্ঞ বেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন। তারা চেষ্টা করেন আমার সঙ্গে যতটা বেশি অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যায়। তাদের পরামর্শ অনেক কাজে লাগে। ক্রেইগ ও শন আমাকে সাহায্য করছেন যেন আমি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দ্রুত উন্নতি করতে পারি।’

বেনের দুই ভাইও কিন্তু এখন উপমহাদেশেই। ছোট ভাই স্যাম কারেন ভারতে আইপিএল খেলছেন এবং বড় ভাই টম কারেন পাকিস্তানে পিএসএলে ব্যস্ত। বাংলাদেশে বসে দুই ভাইয়ের খেলা দেখছেন বলেও জানান তিনি, ‘হ্যাঁ, তাদের খেলা দেখি। গত রাতেও দেখলাম।’ 

নিয়মিত তাদের সঙ্গে কথা হয় বলেও জানান জিম্বাবুয়ের এ ওপেনার, ‘বেশির ভাগ দিনই কথা বলি, বিশেষ করে ম্যাচের সময়। পরিবার হিসেবে আমরা খুবই ঘনিষ্ঠ। শিগগিরই আমাদের দেখা হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম ব ব য় র হয়

এছাড়াও পড়ুন:

এপ্রিলের ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২২৭ কোটি ডলার

চলতি এপ্রিল মাসের ২৬ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় এসেছে ২২৭ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৭ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। এপ্রিলের ২৬ দিনের প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৯২ ডলার।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজার ডলার। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশকেও পানি দেওয়া বন্ধের দাবি বিজেপির

চাপহীন ক্রিকেটে সিরিজ জিততে চায় জিম্বাবুয়ে

কোনো প্রবাসী আয় আসেনি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের মাধ্যমে। এছাড়া বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমেও কোনো প্রবাসী আয় আসেনি।

একক ব্যাংক হিসাবে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। বেসরকারি খাতের ব্যাংকটির মাধ্যমে ২৬ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৩৫ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

ঢাকা/এনএফ/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ