এমডব্লিউ বাংলাদেশের উদ্যোগে মায়া বেঙ্গল ইন মোশন : টাইমলেস টেগোর
Published: 27th, April 2025 GMT
আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে এমডব্লিউ বাংলাদেশ ম্যাগাজিন ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড-এর ন্যাচারাল ওয়েলনেস ব্র্যান্ড মায়া-এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো বেঙ্গল ইন মোশন-এর দ্বিতীয় আয়োজন। এই আয়োজনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী নাচের মেলবন্ধন ও শিল্পের সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়।
বেঙ্গল ইন মোশন-এর মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে তারা নিজেদের মেধা ও দক্ষতার পরিচয় তুলে ধরার পাশাপাশি স্বীকৃতি অর্জনের পথে এগিয়ে যাবেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দর্শক এবং স্পনসরদের সামনে শিল্পীদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।
বেঙ্গল ইন মোশন-এর এই বছরের থিম ছিল টাইমলেস টেগোর। নোবেলজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাট্যকর্ম থেকে অনুপ্রাণিত নৃত্যনাট্য পরিবেশন করা হয় এবারের মঞ্চে। এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্মের সার্বজনীনতাকে দর্শকদের সামনে জীবন্ত করে তোলা এবং নৃত্যের ভাষায় তার অমর সৃষ্টিকে প্রকাশ করা।
অনুষ্ঠানে বরেণ্য ও নবীন শিল্পীদের পরিবেশনায় উপস্থাপিত হয় চারটি শাস্ত্রীয় নৃত্যরূপ—ভরতনাট্যম, কত্থক, মণিপুরী ও ওডিশি।
আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) আলোকি কনভেনশন সেন্টারে। শিল্পীদের পরিবেশনার কারিগরি নির্দেশনায় ছিলেন সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের পরিচালক আনিসুল ইসলাম হিরু। মূল আয়োজনের সূচনা হয়েছিল আনিসুল ইসলাম হিরু ও মাহবুবা মাহনূর চাঁদনীর পরিবেশনার মাধ্যমে। অন্যান্য পরিবেশনায় অংশ নিয়েছিলেন বরেণ্য নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ, সাবরিনা শফি নিশা, বেনজীর সালামের দল, সামিনা হোসেন প্রেমা, আনিকা কবির শখ, তামান্না রহমান ও তাদের দল।
অনুষ্ঠানে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অঞ্জন চৌধুরী এবং এমডব্লিউ ম্যাগাজিন বাংলাদেশ-এর সম্পাদক ও প্রকাশক রুমানা চৌধুরী।
পুরো অনুষ্ঠানটিই দর্শকরা গভীরভাবে উপভোগ করেছেন এবং আনন্দের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের চিরন্তন সৃষ্টিকে উদ্যাপন করেছেন।
এই আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছে সান কমিউনিকেশনস লিমিটেড।
আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে আগামী ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সংবিধান অর্থবহ করতে বিচার আরও সহজলভ্য করতে হবে: প্রধান বিচারপতি
দেশ-জাতি নির্বিশেষে সাধারণ নাগরিকের জীবনে সংবিধানকে আরও কার্যকর ও অর্থবহ করে তুলতে হলে বিচার প্রক্রিয়াকে আরও সহজলভ্য, স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই আয়োজন শুধু একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ নয়, বরং এটি সাংবিধানিক আদর্শ ও ন্যায়বিচার রক্ষার প্রতিশ্রুতির একটি প্রতীকী উদযাপন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের সাংবিধানিক পথচলা ভিন্ন ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠলেও দুই দেশের অভিন্ন লক্ষ্য ন্যায়বিচার, মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধান বিচারপ্রতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ আদালত বিভিন্ন স্বপ্রণোদিত উদ্যোগের পাশাপাশি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, তা বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তিনি বলেন, বর্তমান যুগে সাধারণ মানুষের অধিকারের সুরক্ষায় সাংবিধানিক আদালতগুলোর আরও বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে, জলবায়ু ন্যায়বিচার, ডিজিটাল অধিকার ও তথ্য সুরক্ষা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আন্তঃদেশীয় বৈষম্য মোকাবিলায় বিশ্বের প্রতিটি দেশে এমন একটি ন্যায়বিচার কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা জরুরি- যা একদিকে নিজস্ব বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, তেমনই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায়ও প্রাসঙ্গিক ভূমিকা পালন করবে।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের প্রতি আমন্ত্রণ ও আতিথেয়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও গভীর করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।