বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেলপথে গ্রাহক কিংবা যাত্রীসেবা বিঘ্নিত হলে টেলিভিশনে স্ক্রলের মাধ্যমে জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

আজ রোববার এ সংক্রান্ত দাপ্তরিক নির্দেশনায় জানানো হয়, গতকাল শনিবার মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বিঘ্নিত হয়। এ ছাড়া খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুতের ব্ল্যাকআউট হয়। এই দুটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা কিংবা সংস্থার প্রধানেরা উপদেষ্টাকে জানাননি। উপদেষ্টা এসব বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জানতে পারেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে যেকোনো ধরনের গ্রাহক ও যাত্রীসেবা বিঘ্নের ঘটনা টেলিভিশনে স্ক্রলের মাধ্যমে অনতিবিলম্বে জানাতে হবে। গ্রাহক ও যাত্রীসেবা আবার চালু হলে, সেটাও জানিয়ে ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ‘মনে রাখতে হবে, গ্রাহক ও যাত্রীসেবা আমাদের দয়া নয় বরং দায়।’

আরও পড়ুনবৈদ্যুতিক গোলযোগে মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগ১৮ ঘণ্টা আগে

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, মেট্রোরেল ও বিদ্যুৎবিভ্রাটের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর তৎপরতা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। পাশাপাশি যাত্রী ও গ্রাহকদের বিষয়টি কেন জানানো হয়নি এবং কেন দুঃখপ্রকাশ করা হয়নি—সেই বিষয়ে কৈফিয়ত চেয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনদেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মেট্রোরেল চলাচল শুরু১৬ ঘণ্টা আগে

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, মেট্রোরেলে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর উপদেষ্টা বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। বিদ্যুৎ বিভাগ জানায় যে, এটি মেট্রোরেলের কারিগরি ত্রুটি। বিদ্যুতের কোনো সমস্যা নেই। এ সময় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি উপদেষ্টাকে আগে জানাননি। একইভাবে খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়েও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা কিছুটা লুকোচুরির আশ্রয় নেন।

আরও পড়ুনদক্ষিণের সেই ১০টি জেলার বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তবে কিছু জায়গায় লোডশেডিং ১১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট গ র হক

এছাড়াও পড়ুন:

বিজয়নগরে সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ১৩ জনের নামে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে অবৈধ মাটির ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে আহত মাইনুদ্দিন বিজয়নগর থানায় মামলা করেন। মামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, যুবদলের বহিষ্কৃত নেতাসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মাইনুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা। তাঁর বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামে। তিনি জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে ভাড়া বাসায় থাকেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব পদ থেকে বহিষ্কৃত মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সি (৪০), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম মিয়া (৫৫), কাইয়ুমের তিন ছেলে মো. মুন্না (৩০), রাসেল মিয়া (২৮) ও মোবারক মিয়া (২৫), কাইয়ুমের চাচাতো ভাই ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনিছ মিয়া (৫৩) এবং রুবেল মিয়া (৩৫)। তাঁরা বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহার, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসামিরা কিছুদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে খননযন্ত্র দিয়ে ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিলেন। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন পুকুর ভরাটসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলেন। এসব বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আসামিরা সাংবাদিক মাইনুদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনাসহ হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে ব্যক্তিগত কাজে বিজয়নগর থানার দিকে যাচ্ছিলেন মাইনুদ্দিন। এ সময় বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সামনে মোখলেছুর, কাইয়ুমসহ অন্যরা অতর্কিত সাংবাদিক মাইনুদ্দিনের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেন।

আসামিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

আরও পড়ুনবিজয়নগরে অবৈধ মাটিকাটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ২৫ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ