‘বন্ড সই’ দিয়ে হাসপাতাল থেকে শুটিংয়ে ফেরেন কাঞ্চন
Published: 27th, April 2025 GMT
অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার কমেডিয়ান কাঞ্চন মল্লিক। ডায়েরিয়া ও বমির কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হলে ‘বন্ড সই’ দিয়ে ছুটি নিয়ে ফের শুটিংয়ে ফেরেন। শুটিং শেষে আবারো হাসপাতালে ভর্তি হন এই অভিনেতা।
ভারতীয় গণমাধ্যমে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, “হঠাৎ অতিরিক্ত গরম পড়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই শুটিং করেছি। সে কারণেই একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। আবার জল-খাবার থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে থাকতে পারে। বিপাকক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। শরীর পানিশূন্য হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।”
নতুন একটি সিনেমায় অভিনয় করছেন কাঞ্চন। এ সিনেমার শুটিং চলকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কিছুটা সুস্থ অনুভব করলে, জোর করেই আবার শুটিংয়ে যোগ দেন। এ তথ্য জানিয়ে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, “এজন্য হাসপাতালে বন্ড সই করতে হয়েছিল। বানতলাতে তখন জোরকদমে শুটিং চলছে। আমি গিয়েছি। শুটিং করেছি। আবার হাসপাতালে ফিরে, স্যালাইন নিয়েছি।”
আরো পড়ুন:
সেই ময়ূখকে ‘গাধা’ বললেন অভিনেতা ঋত্বিক
পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে রিল বানায়: স্বস্তিকা
কাঞ্চন এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন। বাসায়ও ফিরেছেন। অসুস্থ শরীর নিয়েও শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কাঞ্চনের স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ বলেন, “এটা প্রমাণিত সত্য যে, কাঞ্চনের প্রথম প্রেমিকা, প্রথম বউ হচ্ছে কাজ।”
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শ্রীময়ী চট্টরাজ বলেন, “গত ১৩-১৪ এপ্রিল থেকে কাঞ্চনের প্রায় দিন-রাত শুটিং চলছিল। সারারাত জেগে শুটিং করেছে। ১৫ তারিখে কাঞ্চনের প্রচণ্ড বাড়াবাড়ি হয়। লুজ মোশন আর বমি শুরু হয়। ওষুধ খেয়ে কাঞ্চন সেটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কাঞ্চন হাসপাতালে ভর্তি হতে চায় না। ১৬ তারিখে কাঞ্চন আর পারছিল না। সেদিন সকালে অন্য শুটিং, রাতে ‘রক্তবীজ টু’-এর শুটিং ছিল। সেখান থেকে ও ফোন করে জানায় যে, ও আর পারছে না। ওই রাতে কাঞ্চনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের সময় ৫৪ জনকে হত্যা
খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় ৫৪ জন সন্ত্রাসীকে নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করেছে। রবিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত অনুপ্রেবেশকারীদের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
২০২২ সালের নভেম্বরে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের যুদ্ধবিরতি শেষ হয়। এরপর গত এক বছরে পাকিস্তানে বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোওয়া এবং বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
"২৫/২৬ এবং ২৬/২৭ এপ্রিল ২০২৫ সালের রাতে, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী খারিজদের একটি বৃহৎ দলের [গতি] নিরাপত্তা বাহিনী উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার হাসান খেল এলাকায় [সাধারণ] অভিযান চালায়।
আইএসপিআর বিবৃতিতে বলেছে, “(আমাদের) নিজস্ব সেনারা কার্যকরভাবে তাদের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। সুনির্দিষ্ট ও দক্ষ অভিযানের ফলে ৫৪জন খারিজকে (অনুপ্রবেশকারী) নরকে পাঠানো হয়েছে।”
আইএসপিআর জানিয়েছে, নিহত খারিজদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে খারিজদের এই দলটি তাদের বিদেশী প্রভুদের'নির্দেশে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বড় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য বিশেষভাবে অনুপ্রবেশ করছিল।”
ঢাকা/শাহেদ