ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তাসনিম জারাকে পাঠানো নোটিশ প্রত্যাহার
Published: 27th, April 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তাসনিম জারাকে পাঠানো নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার নোটিশ দাতাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৪ এপ্রিল ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা অবিলম্বে বন্ধ করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা.
তবে সংশোধিত নোটিশে বলা হয়, অনেক খবরে বলা হয়েছে ডা. তাসনিম জারাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়নি। ডা. তাসনিম জারার নামটি ঘটনাচক্রে রেফারেন্স হিসেবে ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের সঙ্গে এসেছে। বিষয়টিকে অনেকেই অতিরঞ্জিত করে অনলাইনে বাণিজ্য করার চেষ্টা করছে। যা অনাকাঙ্ক্ষিত।
নোটিশ প্রত্যাহারের বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার পল্লব বলেন, সম্প্রতি ডা. তাসনিম জারা আমার মক্কেলগণ কর্তৃক পূর্বে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বক্তব্য প্রকাশ করেছেন। আমার মক্কেলগণ প্রকাশিত বক্তব্যটি গুরত্বের সঙ্গে অনুধাবন করেছেন। তাসনিম জারা তরুণ এবং প্রতিশ্রুতিশীল একজন মেধাবী ডাক্তার। তিনি তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, তার ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করে অসংখ্য ফেক ফেসবুক আইডি এবং ইউটিউব চ্যানেল খুলে অনেকেই প্রতারণা করছে যেগুলো তার নিজের ফেসবুক আইডি বা ইউটিউব চ্যানেল নয়। তিনি দায়িত্বশীল জায়গা থেকে কাজ করেন। ডা. তাসনিম জারার বক্তব্যে নোটিশ প্রেরকগণ সন্তুষ্ট হওয়ায় নোটিশে রেফারেন্স হিসেবে উল্লিখিত ডা. তাসনিম জারার নামটি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নামও নোটিশে উল্লেখ থাকায় নোটিশ প্রেরকগণ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আগর দিন আইনজীবি, পরের দিন ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
নাটোরে এক আইনজীবীকে কুপিয়ে তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার একদিন পরই এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মুখোশধারী ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও মোবাইলফোন লুট করে নিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার হালসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা জাকির হোসেন সোনালী ব্যাংক মানিকগঞ্জ শাখায় কর্মকর্তা আছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ৮ থেকে ৯ জনের মুখোশধারী একদল ডাকাত জাকির হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে। ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাবা আইয়ুব আলী ও তার মাকে বেঁধে ফেলে। পরে ডাকাতদল একে একে চারটি কক্ষ তছনছ করে। এ সময় ঘরে থাকা প্রায় আট ভরি স্বর্ণালংকার ও কয়েকটি মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িত ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য আমরা অনুসন্ধান পরিচালনা করছি। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে নাটোরের লালপুর উপজেলায় অ্যাডভোকেট সাধন চন্দ্র দাসকে কুপিয়ে তার বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।