শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ: মীর স্নিগ্ধ
Published: 27th, April 2025 GMT
শহীদদের পরিবারের নিরাপত্তা ছিল রাষ্ট্রের সর্বপ্রথম দায়িত্ব, কিন্তু এই নিরাপত্তা প্রদান করতে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১০টায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এসব কথা বলেন। গতকাল রাতে ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনের এক শহীদের কলেজছাত্রী মেয়ের (১৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে দেখতে হাসপাতালে যান স্নিগ্ধ।
আরো পড়ুন: ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
এ সময় তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এতদিনে রাষ্ট্রের উচিত ছিল শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এই মৃত্যু প্রমাণ করে শহীদদের পরিবারের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে।”
এ সময় তিনি আরো বলেন, "আজকের ঘটনা আমাদেরকে কঠিন সত্যের সামনে দাঁড় করিয়েছে। যদি শহীদ পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ না থাকেন, তাহলে আমাদের সমাজে আর কেউ নিরাপদ থাকবে না।"
শহীদ পরিবারের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারকে কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
ঢাকা/রায়হান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাজার বিরুদ্ধে শফিক রেহমানের আপিল শুনানি শেষ, রায় ১২ মে
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমানের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষ হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ তারিক এজাজের আদালতে শফিক রেহমানের পক্ষে তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ শুনানি শেষ করেন। আদালত এ বিষয়ে রায়ের দিন ১২ মে ধার্য করেছেন। এদিন শফিক রেহমান আদালতে হাজির হন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
আরো পড়ুন:
যুগপূর্তি সংখ্যা
গণমাধ্যম চলবে কার নির্দেশনায়?
যুগপূর্তি সংখ্যা
গণমাধ্যমের কর্কট রোগ
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দেন। ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ ৫ জনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শফিক রেহমান। শুনানি শেষে আদালত তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। পাশাপাশি তার সাজা পরোয়ানা স্থগিত করা হয়।
ঢাকা/এম/এসবি