ভারতীয় পুলিশ শনিবার (২৬ এপ্রিল) জানিয়েছে, তারা ভারত-শাসিত কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলা জুড়ে সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানে ১৭৫ জনকে আটক করেছে। অন্ততনাগ জেলার পেহেলগ্রামে গত সপ্তাহে অজ্ঞাত বন্দুককারীরা ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করেছিল। খবর আনাদোলুর। 

পুলিশ ঘোষণা করেছে, ওই হামলার ঘটনায় জেলা জুড়ে ব্যাপক তল্লাশি ও অবরোধ অভিযান শুরু করা হয়েছে।

পেহেলগ্রামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা প্রতিবেশী দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বাড়িয়েছে। ভারত, হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের পরোক্ষ সংযোগের অভিযোগ এনে ব্যাপক প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ১৯৬০ সালের গুরুত্বপূর্ণ পানিবণ্টন চুক্তি সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করেছে, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করেছে এবং মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ কঠোর করেছে।

আরো পড়ুন:

গুজরাট থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ইরানের

অন্যদিকে, ইসলামাবাদ নয়াদিল্লির অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, ভারতীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে, ভারতীয়দের জন্য ভিসা স্থগিত করেছে, ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে এবং তৃতীয় দেশগুলোর মধ্য দিয়ে লেনদেনসহ বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তান ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তিও স্থগিত করেছে, যা দ্বিপাক্ষিক বিরোধ পরিচালনার জন্য তৈরি একটি মূল কাঠামো চুক্তি।

ভারতের জলশক্তিমন্ত্রী শুক্রবার বলেছেন, সিন্ধু নদের এক ফোঁটাও যেন পাকিস্তানে না যায়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে পাকিস্তান বলেছে, সিন্ধু পানিচুক্তিটি একতরফাভাবে স্থগিত করা যাবে না। ভারত যদি পানি প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করে, তবে তারা তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হিসেবে বিবেচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় জবাব দেবে।

এদিকে, ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে প্রতিরক্ষা অভিযান বা নিরাপত্তা বাহিনীর চলাচলের সরাসরি সম্প্রচার থেকে মিডিয়া চ্যানেলগুলোকে নিষিদ্ধ করে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

সাত দশকের বেশি সময় ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মির সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, দুই দেশই এই অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিজেদের দাবি করে, তবে নিয়ন্ত্রণ করে আংশিকভাবে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দাবিতে উপাচার্যকে ঢাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুবিধা ও কল্যাণার্থে পাঁচটি বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের নেতৃত্বে উপাচার্যকে এ স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি।

তাদের দাবিগুলো হলো- আবাসিক হলের ক্যান্টিনগুলোতে পরিবেশিত খাদ্যের মানোন্নয়ন; হল পাড়া ও কলা ভবনের পিছনের রাস্তার উপযুক্ত মেরামত; ক্যাম্পাসের প্রতিটি বিভাগে ফিল্টার পানি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পানির ফিল্টার স্থাপন; বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড ধারীদের জন্য ক্যাম্পাসে ফ্রি ওয়াইফাই চালুকরণ; প্রতিটি বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিতে ফটোকপি, প্রিন্টিং ও স্ক্যানিং এর সুবিধা নিশ্চিতকরণ।

আরো পড়ুন:

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবিতে ঢাবিতে সেমিনার

ঢাবিতে ছাত্রদলের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

এ সময় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান তাদের দাবিগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেন।

স্মারকলিপি প্রদানকালে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মাসুম বিল্লাহ, মো. আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন শাওন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. শামিম আকতার শুভ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর আলম ভূঁইয়া ইমন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ