ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও অন্তত ৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসনে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৪৯৫ জনে।

শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০৮ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, যার ফলে চলমান হামলায় মোট আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫২৪ জনে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অনেক মৃতদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।"

এর আগে, চলতি বছরের ১৮ মার্চ, যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর থাকার পরও ইসরায়েল গাজায় আকস্মিক বিমান অভিযান চালায়, যেখানে ২ হাজার ১১১ জন নিহত ও ৫ হাজার ৪৮৩ জন আহত হন।

গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াওভ গালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

গাজায় চালানো যুদ্ধে ইসরায়েল এখন আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখি হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের কোনো সুযোগ নেই: আমির খসরু

ঐকমত্যের বাইরে সংস্কার করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রোববার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ’র নেতৃত্বে বিজেপির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন বিজেপির মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মোস্তফা তামজিদ প্রমুখ। বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।

আমির খসরু বলেন, আমরা দেশে বাকশাল করতে যাচ্ছি না। সবাইকে যে একমত হতে হবে, এটা যারা চিন্তা করে- এটা তো একটা বাকশালী চিন্তা। যেটা শেখ হাসিনা করেছিলেন। বিভিন্ন দলের ভিন্ন ভিন্ন দর্শন, চিন্তা-ভাবনা থাকবে, ভিন্নমত থাকবে। যেখানে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর বাইরে সংস্কার করার কোনো সুযোগ নাই। এর বাইরে যেটা করতে যাবে, সেটা আপনাকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আসতে হবে। নির্বাচনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসতে হবে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে হবে। সুতরাং যেগুলো ঐকমত্য হয়েছে, এ বিষয়গুলো কেনো জাতির সামনে তুলে ধরা হচ্ছে না। এটাই প্রশ্ন। 

এ প্রসঙ্গে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু আরও বলেন, ইতিমধ্যে সবাই জমা দিয়েছে। অনেকদিন সময় চলে গিয়েছে। আলোচনা শেষ। কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, এটার জন্য এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে না। জাতিকে জানান, কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, জাতি জানুক। ওই ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা সনদে সই করে দিয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই। খুব সহজ ব্যাপার। এর বাইরে যাওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই। আজকে যে প্রেক্ষাপট, এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী রোডম্যাপ না দেওয়ার কারণে জনগণের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে। এটা আগামী দিনের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ