লিগ, কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ—ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর পরম আরাধ্য এই শিরোপা ত্রয়ী একই মৌসুমে জেতার অভিজ্ঞতা হান্সি ফ্লিকের আগেও হয়েছে। ২০১৯-২০ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখকে তিনি জিতিয়েছিলেন সেই ট্রেবল।


ট্রেবল বার্সেলোনাও আগে জিতেছে, একবার নয়, দুবার। সুতরাং বলা যায়, ফ্লিক ও বার্সেলোনা দুই-ই ট্রেবল জয়ের বিশেষজ্ঞ। তো সেই ফ্লিক আর বার্সেলোনা যখন এক হলো, তখন আরেকটা ট্রেবলের আশা তো করাই যায়। বার্সেলোনা সমর্থকদের সেই আশা বিশাল ডানা মেলেছে এবার। ফ্লিকের অধীনে তিন শিরোপাই জেতার সুযোগ তৈরি হয়েছে বার্সেলোনার।

তিনের মধ্যে একটা বার্সেলোনা পেয়ে গেছে গত রাতেই। কোপা দেল রের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বার্সেলোনা স্প্যানিশ ফুটবলে রেকর্ড ৩২তমবারের মতো জিতেছে ঘরোয়া কাপ। বাকি দুটিও আসবে, এমন আশা বার্সেলোনার জার্মান কোচের। গতকাল রিয়ালকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে এসেই বলেছেন,  ‘এখন আমরা উদ্‌যাপন করব। তারপর বিশ্রাম নেব। ভালো বিশ্রাম। ট্রেবল জেতার দারুণ সুযোগ আমাদের সামনে। তবে এর জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে।’

কোপা দেল রের ট্রফি নিয়ে বার্সেলোনার উৎসব.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র বল

এছাড়াও পড়ুন:

কাঁচা ডিমের মেয়োনিজ নিষিদ্ধের আহ্বান কর্ণাটকের চিকিৎসকদের

ভারতের তামিলনাড়ুর রাজ্য সরকার কাঁচা ডিম দিয়ে তৈরি মেয়োনিজের উৎপাদন ও বিক্রি এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার পর কর্ণাটকের চিকিৎসকরা এটিকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ খাবার’ উল্লেখ করে রাজ্য সরকারকে নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

চিকিৎসকরা বলেন, কাঁচা ডিমের মেয়োনিজে সালমোনেলা টাইফিমিউরিয়াম, সালমোনেলা এন্টারিটিডিস, ইশেরিকিয়া কোলাই এবং লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজেনেস জাতীয় জীবাণু পাওয়া গেছে। যাতে বমি, পেটের সমস্যা এবং জ্বরের মতো রোগ হতে পারে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তে সংক্রমণ ঘটিয়ে এটি প্রাণঘাতীও হতে পারে। 

এর আগে ২০০৬ সালের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্টের ধারার ৩০(২)(ক)-এর অধীনে গত ৮ এপ্রিল থেকে তামিলনাড়ু সরকার কাঁচা ডিম দিয়ে তৈরি মেয়োনিজের উৎপাদন ও বিক্রি এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে।

ওই ধারায় বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার কোনো খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ বা বিক্রয় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করতে পারবেন।

আইন অনুযায়ী, খাদ্য ব্যবসায়ীদের নিশ্চিত করতে হবে, তাদের উপাদানসমূহ নিরাপদ। উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিক্রয় বা বিতরণের সময় কোনো অসম্পূর্ণ, ভুল লেবেলযুক্ত বা নিম্নমানের খাবার বিক্রি করা যাবে না এবং খাদ্যের মধ্যে কোনো বিদেশি পদার্থ থাকাও চলবে না। 

গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. মানস কুমার মণ্ডল বলেন, কাঁচা ডিম কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। রান্না করেই ডিম খাওয়া উচিত। 

তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ডিমের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। তখন আর সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে না। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ