আগামী মে মাসে দুই দফায় তিন দিন করে ছুটি কাটানোর সুযোগ মিলছে সরকারি চাকরিজীবীদের।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের সরকারি ছুটি। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি। এতে একই সঙ্গে তিন দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
একই মাসে আরো একবার তিন দিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। আগামী ১১ মে (রবিাবর) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি। এর আগে দুদিন শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে একই মাসে দুবার তিন দিন করে ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
এবার ঈদেও দীর্ঘ ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এবার টানা নয় দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পান তার; এর সঙ্গে ঈদের আগে আরেক দিন ছুটি নিয়ে কেউ কেউ ১১ দিনেরও ছুটি কাটিয়েছেন।
ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। পরে নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ৩ এপ্রিল ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর ফলে এবার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি কাটিয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। সরকারি চাকরিজীবীদের শেষ অফিস ছিলো ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার)। এর আগের দিন আবার ২৬ মার্চের ছুটি।
বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন প্রায় ১৫ লাখ। ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। নিলে তা টানা ছুটি হয়ে যাবে। অবশ্য অর্জিত ছুটি নেওয়ার সুযোগ আছে। এছাড়া, ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ারও সুযোগ আছে।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ কর জ ব র ছ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করা রাজনৈতিক মামলার তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে
দেশে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সময়ের মধ্যে দায়ের করা রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য মন্ত্রণালয় পর্যায়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে ইতোমধ্যে সুপারিশ করা মামলাসমূহের তালিকা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়।
আজ রোববার সচিবালয়ে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে গঠিত কমিটির ১২তম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আজকের সভায় আরও ৫১৭টি মামলা প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হয়। এ নিয়ে গত চারমাসে মোট ৮ হাজার ৮৩২টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এই কমিটি।
সভায় জানানো হয়, এসব মামলার প্রতিটিতে গড়ে কমপক্ষে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। সেই হিসেবে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় পাঁচ লাখ নেতাকর্মী এসব মামলার আসামি ছিলেন।
বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগে (সলিসিটর অনুবিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গন, ঢাকা) বা solicitor.lawjusticediv.gov.bd ই-মেইলে সরাসরি আবেদন করেও মামলা প্রত্যাহার করা যাচ্ছে। মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রের ‘সার্টিফাইড কপি’ সংগ্রহে সমস্যা হলে মামলা প্রত্যাহারের দরখাস্তের সঙ্গে এজাহার ও অভিযোগপত্রের ‘সার্টিফাইড ফটোকপি’ ও দাখিল করা যাবে বলে কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়।