দিনাজপুরে কৃষি যন্ত্রপাতির কারখানা পরিদর্শন জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের
Published: 27th, April 2025 GMT
দিনাজপুরে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কৃষি যন্ত্রপাতির কারখানা পরিদর্শন করেছে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল। কৃষি ও কৃষকের চাহিদা, কারখানা সংশ্লিষ্ট এবং সরকারের সংযোগ করতে কাজ করার কথা জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনের ফলে দাম, সময় সবক্ষেত্রেই সহজলভ্যতা বাড়বে কৃষকদের, কমবে আমদানি নির্ভরতা। কারখানা পরিদর্শন করে এমন মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিনিধি দলটি।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বিষয়ক ওই প্রতিনিধি দলটি দিনাজপুরের উত্তরণ ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের জাতীয় সংহতি কর্মসূচির টেকসই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিশেষজ্ঞ স্কট জাসটিস, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তা সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হোসেন, উত্তরণ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফেদ উল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় জানানো হয়, এখন যেসব কৃষি যন্ত্রপাতি আসছে তার বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করা। এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে, তার যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে। এতে করে দেশীয় অর্থের অপচয় হচ্ছে, সময় ও ব্যয় বাড়ছে। এমন অবস্থায় দেশের কৃষি যন্ত্রপাতির কারখানাগুলো হতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষিযন্ত্র সমূহ আশার আলো দেখাচ্ছে, যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে স্থানীয়ভাবেই কম মূল্যে ও সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। দেশে বাড়ছে কর্মসংস্থান, কমছে আমদানি নির্ভরতা।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তা সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হোসেন জানান, কৃষি যন্ত্রপাতি কিভাবে মানুষের কাছে প্রসারিত করা যায় এজন্য জাতিসংঘের একটি প্রর্বতনা রয়েছে কৃষক মাঠ স্কুল। কৃষক মাঠ স্কুলের সঙ্গে কৃষি যান্ত্রিকরণ সংযুক্ত। এখানে কী কী বিষয় সংযুক্ত করা যায়, কী কী যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় এজন্য আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও জানান, মাঠের কৃষকরা কী ধরনের যন্ত্রপাতি চাচ্ছে সেটির সংযোগ না থাকলে কৃষক তৃপ্ত থাকবে না। এজন্য কৃষকদের সঙ্গে সংযোগ থাকা প্রয়োজন। আমাদের গবেষণাগুলো এভাবে সাজানো। কৃষি ও কৃষক, যন্ত্রপাতি সংশ্লিষ্ট এবং সরকারের সঙ্গে সংযোগ করার কাজটি করা খুবই জরুরি। আর সেটাই আমরা চেষ্টা করছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় খালাস পেলেন আমীর খসরু
সাত বছর আগে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। একই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন আরও চারজন।
ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪-এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক আজ রোববার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন।
খালাস পাওয়া অপর চারজন হলেন আইনজীবী মিলহানুর রহমান নাওমী, রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান ও রবিউল ইসলাম।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ এনে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আমীর খসরুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে পুলিশ। সেই মামলায় আজ আমীর খসরুসহ পাঁচজনকেই বেকসুর খালার দিয়েছেন আদালত।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি আমীর খসরুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল পুলিশ। আর ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। এটি আমীর খসরুর বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ক্লিপে এক ব্যক্তির সঙ্গে আরেক ব্যক্তিকে কথা বলতে শোনা যায়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে লোকজনকে নামানোর জন্য কথা বলতে শোনা যায় ক্লিপে। এই ঘটনায় ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।