কুমিল্লার বাণিজ্য মেলার ভাল্লুক-বানর এখন সাফারি পার্কে
Published: 27th, April 2025 GMT
কুমিল্লা নগরীর একটি বাণিজ্য মেলার সার্কাস থেকে একটি ভাল্লুক ও দুইটি বানর উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন আইনে এসব প্রাণি উদ্ধার করে গাজীপুর সাফারি পার্কে সংরক্ষণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে নগরীর জাঙ্গালিয়া এলাকার ‘কুমিল্লা কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলা’ থেকে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা লিজার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা লিজা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলায় সার্কাস প্রদর্শনের জন্য আনা ভাল্লুক ও বানর খাচায় বন্দি করে রাখা হয়। এ ধরনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে। পরে শনিবার ঢাকা থেকে ইউনিটের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে একটি ভাল্লুক ও দুইটি বানর জব্দ করে। এগুলো গাড়িতে করে গাজীপুর সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।
অভিযানে কুমিল্লা বন বিভাগ ও র্যাপিড রেসপন্স বিডি ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা সহযোগিতা করে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে গাছ কাটার কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বজ্রপাতে নুরুল আমিন (৪০) নামে একজন দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। গাছ কাটার কাজ করতে গিয়ে তিনি এই বজ্রপাতের শিকার হন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়াল গ্রামের দালাল বাড়িতে এ বজ্রপাত ঘটে।
নিহত নুরুল আমিন উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সল্যাঘটাইয়া গ্রামের নূর আহমেদ ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নোয়াখালীতে সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিলো। নুরুল আমিনসহ চারজন দিনমজুর জালিয়াল গ্রামের দালাল বাড়িতে গাছ কাটার কাজ করছিলেন। বৃষ্টির সাথে দুপুরের দিকে বিকট শব্দে বজ্রপাত হয়। এ সময় তিন দিনমজুর দৌঁড়ে নিরাপদে চলে যেতে সক্ষম হলেও নুরুল আমিনের হাতে গাছ কাটার করাত থাকায় তিনি নিরাপদে যেতে পারেননি। এসময় বজ্রপাতের শব্দে তার হ্রদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। সাথে চোখ ও কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সুধারাম মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রহমান মন্জুর বলেন, “বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়নি। তবে খোঁজ নেওয়া হবে।”
নোয়াখালী আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলা শহর মাইজদীতে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ (রবিবার) সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/সুজন/টিপু