Samakal:
2025-12-14@06:53:41 GMT

ভ্যাপসা গরমে কষ্ট কমছে না

Published: 26th, April 2025 GMT

ভ্যাপসা গরমে কষ্ট কমছে না

গত বছর এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। এ বছর এখনও ৪০ ডিগ্রি না পেরোলেও ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। তীব্র গরমে মানুষ, পশুপাখি সবাই অতিষ্ঠ। কাঠফাটা রোদ্দুরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে গায়ে ফোসকা পড়ার মতো অনুভূতি হচ্ছে। রাজধানীতে গতকাল শনিবার আগের দিনের চেয়ে তাপমাত্রা কমেছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে কমেনি গরমের কষ্ট। রাজশাহী বিভাগ এবং দিনাজপুর, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাতাসে আর্দ্রতা বা জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়ায় গরমে অস্বস্তিকর অনুভূতি বেড়ে গেছে। তবে স্বস্তি আসতে পারে আগামী দু-একদিনের মধ্যেই। হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নথিবদ্ধ হয় ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহীতে তীব্র তাপদাহে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। রোদের তাপে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। খেটে খাওয়া মানুষ অল্প পরিশ্রমেই কাহিল হয়ে পড়ছেন। চলমান তাপমাত্রাকে আবহাওয়া অফিস মাঝারি তাপদাহ উল্লেখ করছে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় মানুষ ঘেমে কাহিল হয়ে পড়ছেন। রিকশাচালক আবদুর রহমান বলেন, কাজ করতে পারছি না। বের হলেই কাহিল হয়ে পড়ছি। পিপাসা লাগছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, গত বছর এপ্রিলে তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রিতে উঠেছিল। তখন বাতাসের আর্দ্রতা কম ছিল। শনিবার ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা উঠলেও বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫২ শতাংশ। এ কারণে মানুষের শরীরে ঘাম ঝরেছে। ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়ে কষ্ট হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গায় টানা কয়েক দিন ধরে চলছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়ছে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের ওপরও। শনিবার বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, রোববার (আজ) পর্যন্ত তাপপ্রবাহ থাকবে। এরপর তাপমাত্রা কমে আসবে। তখন সারাদেশেই কমবেশি বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, মে মাসে সাধারণত ১৩টির মতো কালবৈশাখী হয়। এবার আবহাওয়ার যে গতিপ্রকৃতি দেখছি, সে অনুযায়ী এবার ১২ থেকে ১৩টির মতো কালবৈশাখী হতে পারে। তা যদি হয় তবে এবার একটানা তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা কম। তবে তাপমাত্রা যতটা স্বাভাবিক, তা-ই থাকবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গরম স লস য় স দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ