নিয়ম মেনে চলে না মন। চাইলেই আবার ঠান্ডা রাখা যায় না মাথা! চাইলে আপনি অনেক কিছুর লাগাম ধরতে পারলেও কেন এ দুটোর লাগাম টানা যায় না! তবু যারা সচেতন, যারা নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করতে চায়, আর আলাদা দেখতে চায়, নিজেকে নিয়ে যারা প্রতিনিয়ত ভেবে যায়– তারা কিন্তু পুরোপুরি না পারলেও মন আর মাথার সঙ্গে আপস করতে পারে। মনটাকে কাজ দিয়ে বসিয়ে রাখতে পারে। আবার সময় মতো মনকে অনেকটা আয়ত্তেও নিয়ে আসতে পারে। তারা আরও পারে মাথা ঠান্ডা রেখে সময়ের কাজ সময়ে করে যেতে। অযথা দুশ্চিন্তা তাদের কাবু করতে পারে না। 
ঠান্ডা মাথায় প্রস্তুতি 
পরীক্ষার সময় আপনার বড় পরীক্ষা হচ্ছে মাথা ঠান্ডা রেখে প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া। প্রস্তুতি বলতে রিভিশন আর কী! মাথা ঠান্ডা রেখে প্রস্তুতিটা নিলেই হয়। অন্য কিছু নিয়ে তেমন ভাবতে হয় না। পরীক্ষার আগের রাতে অনেকের ঘুম হয় না। চিন্তাতে রাত কেটে যায়। ফলে পরদিন হলে গিয়ে তারা কিছুই মনে করতে পারে না। এমন চিন্তা কখনোই করবেন না আপনারা। পারলে পরীক্ষার আগের রাতে একটু আগেই ঘুমিয়ে পড়ূন। পরদিন একটু আগে উঠে বই নিয়ে বসুন।
দিনে ছয় ঘণ্টা ঘুম
অনেকের আবার রাত জাগার অভ্যেস। তাদেরও বলি, অন্য সময় জাগলেও এ সময় রাত জাগার দরকার নেই। কারণ, এখন আপনার দরকার মাথা ঠান্ডা রাখা। এ জন্য আপনার দরকার ঘুম। জানেনই তো, 
একজন সুস্থ মানুষের জন্য দৈনিক কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা ঘুমানো আবশ্যক! ধরুন, আজ আপনার একটা পরীক্ষা শেষ। দু’দিন পর আরেকটা। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে আপনার একটা ভুল হয়ে গেল উত্তরপত্রে, এ নিয়ে বাড়ি-ঘর মাথায় তোলার দরকার নেই। আপনি বরং এসব চিন্তা ঝেড়ে সামনের পরীক্ষায় যেন এই ভুল না হয়, 
সেটি ভাবুন।   
আগের রাতে গুছিয়ে রাখুন
পরীক্ষার আগের রাতে দরকারি কাগজপত্র গুছিয়ে রাখবেন। কলম, পেনসিল, ক্যালকুলেটরসহ দরকারি সব ঠিক করে রাখবেন। পরীক্ষার হলে তো এমনিতে মোবাইল নিয়ে যাওয়া যায় না, তাই ঘড়ি নিয়ে রুমে ঢুকবেন এবং কর্তব্যরত হল পরিদর্শক বা হলের ঘড়ি দেখে আপনার ঘড়ির সময় ঠিক করে নিন। 
যা না করাই ভালো
যে প্রশ্নটা ভালো পারেন, সেটি দিয়ে লেখা শুরু করুন। অনেকে প্রশ্নের ধারাবাহিকতার কথা চিন্তা করে মোটামুটি জানা প্রশ্নটা দিয়ে লিখতে শুরু করে দিন। দয়া করে, এটি করতে যাবেন না! এতে মার্কস বাড়ার চেয়ে কমার আশঙ্কা বেশি! রিভিশনের কথাটি মাথায় রাখবেন। অন্তত একবার হলেও উত্তরপত্রটা রিভিশন দেবেন। তাতে ছোটখাটো অনেক ভুল শুধরে নিতে পারবেন। 
যে যাই বলুক ভাই.

..
তা যে যাই বলুক, আপনার কথা কিন্তু আপনাকে চিন্তা করতে হবে। এ চিন্তাটা যেন খুব বেশি না হয়। মানে দুশ্চিন্তা না হয়! পরীক্ষার সময় মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলেই হয়। আর কখনও এ পরীক্ষাটিকে বাড়তি 
চাপ বলে মাথায় নেবেন না। ক্লাস পরীক্ষার মতো ভেবে ভেবে ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষাটা 
দিয়ে যান। u

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ত ত পর ক ষ র র দরক র আপন র র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

যে যাই বলুক ভাই মাথা ঠান্ডা রাখা চাই

নিয়ম মেনে চলে না মন। চাইলেই আবার ঠান্ডা রাখা যায় না মাথা! চাইলে আপনি অনেক কিছুর লাগাম ধরতে পারলেও কেন এ দুটোর লাগাম টানা যায় না! তবু যারা সচেতন, যারা নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করতে চায়, আর আলাদা দেখতে চায়, নিজেকে নিয়ে যারা প্রতিনিয়ত ভেবে যায়– তারা কিন্তু পুরোপুরি না পারলেও মন আর মাথার সঙ্গে আপস করতে পারে। মনটাকে কাজ দিয়ে বসিয়ে রাখতে পারে। আবার সময় মতো মনকে অনেকটা আয়ত্তেও নিয়ে আসতে পারে। তারা আরও পারে মাথা ঠান্ডা রেখে সময়ের কাজ সময়ে করে যেতে। অযথা দুশ্চিন্তা তাদের কাবু করতে পারে না। 
ঠান্ডা মাথায় প্রস্তুতি 
পরীক্ষার সময় আপনার বড় পরীক্ষা হচ্ছে মাথা ঠান্ডা রেখে প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া। প্রস্তুতি বলতে রিভিশন আর কী! মাথা ঠান্ডা রেখে প্রস্তুতিটা নিলেই হয়। অন্য কিছু নিয়ে তেমন ভাবতে হয় না। পরীক্ষার আগের রাতে অনেকের ঘুম হয় না। চিন্তাতে রাত কেটে যায়। ফলে পরদিন হলে গিয়ে তারা কিছুই মনে করতে পারে না। এমন চিন্তা কখনোই করবেন না আপনারা। পারলে পরীক্ষার আগের রাতে একটু আগেই ঘুমিয়ে পড়ূন। পরদিন একটু আগে উঠে বই নিয়ে বসুন।
দিনে ছয় ঘণ্টা ঘুম
অনেকের আবার রাত জাগার অভ্যেস। তাদেরও বলি, অন্য সময় জাগলেও এ সময় রাত জাগার দরকার নেই। কারণ, এখন আপনার দরকার মাথা ঠান্ডা রাখা। এ জন্য আপনার দরকার ঘুম। জানেনই তো, 
একজন সুস্থ মানুষের জন্য দৈনিক কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা ঘুমানো আবশ্যক! ধরুন, আজ আপনার একটা পরীক্ষা শেষ। দু’দিন পর আরেকটা। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে আপনার একটা ভুল হয়ে গেল উত্তরপত্রে, এ নিয়ে বাড়ি-ঘর মাথায় তোলার দরকার নেই। আপনি বরং এসব চিন্তা ঝেড়ে সামনের পরীক্ষায় যেন এই ভুল না হয়, 
সেটি ভাবুন।   
আগের রাতে গুছিয়ে রাখুন
পরীক্ষার আগের রাতে দরকারি কাগজপত্র গুছিয়ে রাখবেন। কলম, পেনসিল, ক্যালকুলেটরসহ দরকারি সব ঠিক করে রাখবেন। পরীক্ষার হলে তো এমনিতে মোবাইল নিয়ে যাওয়া যায় না, তাই ঘড়ি নিয়ে রুমে ঢুকবেন এবং কর্তব্যরত হল পরিদর্শক বা হলের ঘড়ি দেখে আপনার ঘড়ির সময় ঠিক করে নিন। 
যা না করাই ভালো
যে প্রশ্নটা ভালো পারেন, সেটি দিয়ে লেখা শুরু করুন। অনেকে প্রশ্নের ধারাবাহিকতার কথা চিন্তা করে মোটামুটি জানা প্রশ্নটা দিয়ে লিখতে শুরু করে দিন। দয়া করে, এটি করতে যাবেন না! এতে মার্কস বাড়ার চেয়ে কমার আশঙ্কা বেশি! রিভিশনের কথাটি মাথায় রাখবেন। অন্তত একবার হলেও উত্তরপত্রটা রিভিশন দেবেন। তাতে ছোটখাটো অনেক ভুল শুধরে নিতে পারবেন। 
যে যাই বলুক ভাই...
তা যে যাই বলুক, আপনার কথা কিন্তু আপনাকে চিন্তা করতে হবে। এ চিন্তাটা যেন খুব বেশি না হয়। মানে দুশ্চিন্তা না হয়! পরীক্ষার সময় মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলেই হয়। আর কখনও এ পরীক্ষাটিকে বাড়তি 
চাপ বলে মাথায় নেবেন না। ক্লাস পরীক্ষার মতো ভেবে ভেবে ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষাটা 
দিয়ে যান। u

সম্পর্কিত নিবন্ধ