খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনের নেতৃত্ব থাকা ৪ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। 

শনিবার রাত ৮টার দিকে ফুলবাড়িগেট বাস কাউন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারপিটে তাদের শরীরে বিভিন্ন ফুলে ও থেঁতলে গেছে। বর্তমানে তারা কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন।

আহতরা হলেন- মুজাহিদুল ইসলাম, মো.

ওয়বাদুল্লাহ, গালিব রাহাত ও মোহন।

আহত শিক্ষার্থী গালিম রাহাত জানান, সন্ধ্যার পর ঘুরতে ঘুরতে তারা ফুলবাড়িগেট মোড় যান। ৮টার দিকে তারা শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৮ থেকে ১০ জন দুর্বৃত্ত লাঠি, স্ট্যাম্প দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে।

আহত আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মারধরের সময় কয়েকজন ‘ভিসিকে বাপ ডাক’ বলে গালিগালাজ করে।

নগরীর ফুলবাড়িগেট থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, প্রাথমিক ঘটনা শুনে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম নামিয়েছি। আমি ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে কৃষি যন্ত্রপাতির কারখানা পরিদর্শন জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের

দিনাজপুরে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কৃষি যন্ত্রপাতির কারখানা পরিদর্শন করেছে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল। কৃষি ও কৃষকের চাহিদা, কারখানা সংশ্লিষ্ট এবং সরকারের সংযোগ করতে কাজ করার কথা জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনের ফলে দাম, সময় সবক্ষেত্রেই সহজলভ্যতা বাড়বে কৃষকদের, কমবে আমদানি নির্ভরতা। কারখানা পরিদর্শন করে এমন মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিনিধি দলটি।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বিষয়ক ওই প্রতিনিধি দলটি দিনাজপুরের উত্তরণ ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের জাতীয় সংহতি কর্মসূচির টেকসই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিশেষজ্ঞ স্কট জাসটিস, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তা সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হোসেন, উত্তরণ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফেদ উল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় জানানো হয়, এখন যেসব কৃষি যন্ত্রপাতি আসছে তার বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করা। এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে, তার যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে। এতে করে দেশীয় অর্থের অপচয় হচ্ছে, সময় ও ব্যয় বাড়ছে। এমন অবস্থায় দেশের কৃষি যন্ত্রপাতির কারখানাগুলো হতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষিযন্ত্র সমূহ আশার আলো দেখাচ্ছে, যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে স্থানীয়ভাবেই কম মূল্যে ও সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। দেশে বাড়ছে কর্মসংস্থান, কমছে আমদানি নির্ভরতা।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তা সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হোসেন জানান, কৃষি যন্ত্রপাতি কিভাবে মানুষের কাছে প্রসারিত করা যায় এজন্য জাতিসংঘের একটি প্রর্বতনা রয়েছে কৃষক মাঠ স্কুল। কৃষক মাঠ স্কুলের সঙ্গে কৃষি যান্ত্রিকরণ সংযুক্ত। এখানে কী কী বিষয় সংযুক্ত করা যায়, কী কী যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় এজন্য আমরা কাজ করছি।

তিনি আরও জানান, মাঠের কৃষকরা কী ধরনের যন্ত্রপাতি চাচ্ছে সেটির সংযোগ না থাকলে কৃষক তৃপ্ত থাকবে না। এজন্য কৃষকদের সঙ্গে সংযোগ থাকা প্রয়োজন। আমাদের গবেষণাগুলো এভাবে সাজানো। কৃষি ও কৃষক, যন্ত্রপাতি সংশ্লিষ্ট এবং সরকারের সঙ্গে সংযোগ করার কাজটি করা খুবই জরুরি। আর সেটাই আমরা চেষ্টা করছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ