আমিরের মৃত্যুর পর নেতৃত্ব পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজিকে দলের আমির ও মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানিকে মহাসচিব করা হয়েছে। ইউসুফ সাদেক এর আগে নায়েবে আমির ও হাবিবুল্লাহ মিয়াজি মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শনিবার দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও মজলিশে আমেলার যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রখ্যাত আলেম প্রয়াত মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের প্রতিষ্ঠিত দল। এটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। হাফেজ্জী হুজুরের তিন ছেলে মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা হামিদুল্লাহ ও মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী যথাক্রমে দলটির আমির ছিলেন।

আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ৪ এপ্রিল মারা যান। এরপর আজ নতুন কমিটি করা হলো। নতুন আমির হাবিবুল্লাহ মিয়াজি হাফেজ্জী হুজুরের বড় ছেলে মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফের ছেলে। তিনি কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নূরীয়া মাদ্রাসার পরিচালক।

বিজ্ঞপ্তিতে খেলাফত আন্দোলন জানিয়েছে, মজলিশে শুরার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ইসমাঈল (বরিশালী হুজুর)। মজলিশে আমেলার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আবদুল হক। দুই অধিবেশনে দলের উপদেষ্টা মাওলানা হাজী ফারুক আহমদ, শেখ আজিমুদ্দিন, আবদুর রহমান তালুকদার, নায়েবে আমির সাইদুর রহমান ও মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, যুগ্ম মহাসচিব সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, মীর ইদ্রিস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উল ল হ হ ফ জ জ মজল শ

এছাড়াও পড়ুন:

আজ সারাদেশে বিক্ষোভ করবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

ছয় দফা দাবিতে আজ রোববার সারাদেশে সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করবেন শিক্ষার্থীরা।

গতকাল শনিবার কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে এই কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানানো হয়।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, রোববার (২৭ এপ্রিল) সারাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে একযোগে বিক্ষোভ মিছিল পালিত হবে। পূর্বে প্রদানকৃত সব নির্দেশনা অব্যাহত থাকবে বলে ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
প্রথমত, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল করতে হবে। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।

দ্বিতীয় দাবি, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং একাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।

তৃতীয় দাবি, উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

চতুর্থ দাবি, কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোয় অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের পঞ্চম দাবি, স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা’ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করতে হবে।

আর ষষ্ঠ দাবি, পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নত মানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতিতে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটার রায় বাতিলসহ ছয় দাবি আদায়ে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন চার লাখের বেশি পলিটেকনিক শিক্ষার্থী। প্রথম দিকে স্মারকলিপি, মানববন্ধন, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করলেও গত ১৬ এপ্রিল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। একই দিন সারাদেশেও অবরোধ হলে আলোচনায় আসে আন্দোলন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ