কুমিল্লা নগরের তিন এলাকায় দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়ার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত থেকে শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো— নগরের বাগিচাগাঁও এলাকার সোহাগ মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম নাফিজ (১৮), কালিয়াজুরী পাক্কার মাথা এলাকার মো.

সেলিমের ছেলে মো. সিফাত (১৬), মো. অলিউল্লাহর ছেলে আরমান ইসলাম রাজিম (১৭), উত্তর চর্থা এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে রাকিব হোসেন (১৬) এবং টিক্কাচর এলাকার মো. ইয়াসিনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৪)।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, “‘নগরের তিনটি এলাকায় দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়ার ঘটনায় জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’’

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নগরের কান্দিরপাড় এলাকার রানীর দিঘির পাড়, তালপুকুরপাড় ও আদালতপাড়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের একাধিক গ্রুপের সদস্যরা মহড়া দেয়। এসময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। বিকালে নগরের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। 

অস্ত্রের মহড়ার কারণে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে নগরের কান্দিরপাড় এলাকার রানীর দিঘির পাড়ে অবস্থিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শাখায় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

নগরের তালপুকুরপাড় এলাকার কয়েকজন বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকালে ওই এলকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দেয়। তাদের হাতে ছেনি, রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক, রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র। এসময় কয়েকটি ককটেলও বিস্ফোরণ ঘটলে গোটা এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, “বিগত সময়ে ধারাবাহিকভাবে অভিযানের কারণে কিশোর গ্যাং প্রায় নিষ্ক্রিয় ছিল। তবে নতুন করে তারা মাথাচাড়া দিতে চাইছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’’

ঢাকা/রুবেল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক র ম এল ক য় নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ২ 

বন্দর উপজেলার আমিরাবাদ বটতলা স্ট্যান্ড এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।

ফেসবুকে এক নারীর সঙ্গে পরিচয়ের পরে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে এসে অপহরণের শিকার হয় ওই শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বন্দরের নবীগঞ্জ ও উত্তর নোয়াদ্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় ঢাকার বংশাল থানাধীন নাজিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা মোঃ আব্দুল হকের পুত্র শিক্ষার্থী  মোঃ মাহিন উদ্দিন নাঈম (২২) বাদি হয়ে বন্দর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা হলো, বন্দরের উত্তর নোয়াদ্দা ডায়াবেটিকস্ হাসপাতালের পিছনে সোহরাব মৃধার পুত্র মোঃ শান্ত হাসান (২০) ও নবীগঞ্জ কাইতাখালী এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত মাসুম রেজার পুত্র মাহমুদুল হাসান সুখন (২২)।

পলাতক আসামীরা হলো, নোয়াদ্দা বড় মসজিদ এলাকার সোহান (২৭), কাইতাখালির তাইজুল ইসলামের পুত্র পারভেজ ওরফে বাবু (২৪), উত্তর নোয়াদ্দার আলতাবের পুত্র রিহান (২০), রাহা মনি ওরফে রুহিসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জন।

মামলার এজাহারে বাদি মোঃ মাহিন উদ্দিন নাঈম (২২) উল্লেখ করেন তিনি শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজে দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে বন্দরের রাহা মনি ওরফে রুহি (২২) নামের এক নারীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে শিক্ষার্থী নাঈম রাহা মনি ওরফে রুহির সঙ্গে দেখা করার জন্য গত ২৩ এপ্রিল বিকেলে বন্দর থানাধীন আমিরাবাদ বটতলা ষ্ট্যান্ডে আসে।

এসময় রাহা মনি ওরফে রুহির সহযোগিতায় ১০/১২ জনের একটি অপহরণকারী চক্র শিক্ষার্থী মোঃ মাহিন উদ্দিন নাঈমকে অপহরণ করে একটি অজ্ঞাতনামা বিলে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা শিক্ষার্থী নাঈমকে আটকে তাদের হাতে থাকা কাঠের ডাসা দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতারী বারি মেরে নিলামুলা জখম করে এবং এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।

এসময় তার মানিব্যাগে থাকা নগদ সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং একটি আইফোন (যার মূল্য ৩২ হাজার পাঁচশ টাকা) লুটে নেয়। পরে শিক্ষার্থী নাঈমের বাবার ফোনে কল করে মুক্তিপণ দাবি করলে তার বাবা বিকাশের মাধ্যমে নগদ ৫ হাজার টাকা পাঠায়।

পরে অপহরণকারীরা শিক্ষার্থী নাঈমকে ১৪ ঘন্টা আটকে রেখে ২৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে শিক্ষার্থী নাঈম স্থানীয়দের সহযোগিতায় বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ প্রথমে অভিযান চালিয়ে মোঃ শান্ত হাসানকে গ্রেফতার করে।

পরে শান্ত হাসানের তথ্য মতো ২নং আসামী মাহমুদুল হাসান সুখনকে গ্রেফতার করে। এসময় মাহমুদুল হাসান সুখনের কাছ থেকে শিক্ষার্থী নাঈমের আইফোন জব্দ করা হয়। 

নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফরিদপুরে বাবার গাড়ির নিচে চাপা পড়ে সন্তানের মৃত্যু
  • রূপগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের কর্মচারী নিহত, নারী সহকর্মীসহ আহত ২
  • বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্টস এসোসিয়েশন’র অফিস বেয়ারার নির্বাচন অনুষ্ঠিত
  • ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের রোগীদের সেবায় জেলা প্রশাসনের হুইল চেয়ার বিতরণ
  • নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন
  • বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, তীব্র গরমের আভাস রাজধানীতে
  • বন্দরে শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ২ 
  • সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করা হবে: খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্ট
  • ফতুল্লায় কিশোর গ্যাং জিনিয়াস গ্রুপের ছুরিকাঘাতে সুরুজ মিয়া আহত, আটক ১