ঢাকার ধামরাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কালামপুর ভালুম মাঠে এই খেলার আয়োজন করে তরুণদের সংগঠন ‌‘বন্ধুমহল’। খেলা উপভোগ করতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ। ফলে সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।

লাঠি খেলা দেখতে আসা সবার দাবি ছিল এই আয়োজন যেন অব্যাহত থাকে। আয়োজকরা জানান, তারাও চেষ্টা করবেন প্রতি বছর এমন আয়োজন করার।

লাঠিয়াল মো.

দেলোয়ার হোসেন বলেন, “বাপ-দাদাকে দেখেছি এই খেলা খেলতে। আমরাও ছোট থেকেই খেলেছি। এখন তেমন কেউ খেলার নেই। আমরা নতুনদের ডেকে খেলার জন্য নিয়ে আসি। তারা এই খেলায় তেমন পারদর্শী না।” 

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে শুরু জব্বারের বলী খেলা

প্রথমবার সরকারপ্রধানের রাষ্ট্রীয় সফরসঙ্গী হচ্ছেন নারী ক্রীড়াবিদরা

আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতির স্মরণে লাঠি খেলা শেষে ভলিবল খেলার আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামনুন আহমেদ অনীক। আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি মো. ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম। 

ইউএনও মো. মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, “আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই এমন আয়োজন করার জন্য। আমাদের ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা হারিয়ে যাচ্ছে। তরুণদের অংশগ্রহণে এমন আয়োজন আরো বেশি হওয়া উচিৎ। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়ও আমরা এমন আয়োজন করার চেষ্টা করব।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভাত খেতে না পারা সেই রাব্বির পাশে ইউএনও

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে জন্মের পর থেকে ভাত খেতে না পারা সেই রাব্বি ইসলামের (২০) পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও জিল্লুর রহমান। শুক্রবার তাঁকে দেখতে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান ইউএনও। এ সময় রাব্বি ও তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর চিকিৎসায় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 
গত ১৪ এপ্রিল সমকালে ‘জীবনে কখনও ভাত খাননি রাব্বি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর আগে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ হয় সমকাল ডিজিটালে। প্রতিবেশী বসিরুল ইসলাম আকন্দ ও মতিয়ার রহমান জানান, রাব্বির ভাত না খাওয়ার সংবাদ প্রকাশের পর ইউএনও তাঁর বাড়িতে এসেছেন। 
রাব্বির বাবা রমজান আলীও একই তথ্য জানিয়ে বলেন, রাব্বির চিকিৎসার বিষয়ে আশস্ত করায় তারা খুশি। ইউএনও জিল্লুর রহমান বলেন, রাব্বি ভাত খাননি জানতে পেরে তাঁর বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে।
জানা গেছে, রাব্বির ছয় মাস বয়সে মুখে ভাত দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবার বমি করে ফেলতেন। জোর করে খাওয়ালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর থেকে কখনও ভাত খাননি।
রাব্বির বাড়ি উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামে। তাঁর বাবা রমজান আলী পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বর্তমানে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। চাল দিয়ে তৈরি বিরিয়ানি, পায়েস ও শাকসবজিও খেতে পারেন না তিনি। 
রাব্বি দুই বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ও গরুর দুধ খেয়েছেন। এখন নুডলস, মাছ, মাংসের তরকারি তাঁর খাবার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ধর্মবিরোধী’ অভিযোগ তুলে পাঠাগার থেকে নজরুল-রবীন্দ্রনাথের বই নিয়ে গেলেন একদল যুবক
  • দুর্গম পদ্মার চরে নতুন আশা
  • সিলেটে পর্যটনকেন্দ্রে পাথর লুটের সময় ৯ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড
  • শ্রীপুরে বনের জমি উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান
  • সড়কে নিম্নমানের ইট-খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ, নির্মাণকাজ আটকে দিলেন ইউএনও
  • গাজীপুরে বনভূমি থেকে ৫৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
  • চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলা
  • ভাত খেতে না পারা সেই রাব্বির পাশে ইউএনও
  • কুমিল্লায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ, ডিলার বিএনপি নেতার ৬ মাসের কারাদণ্ড