ফেসবুকে স্প্যামের লাগাম টানতে কঠোর হচ্ছে মেটা
Published: 26th, April 2025 GMT
ফেসবুকে স্প্যাম ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ছড়ানো বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এর মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। যেসব ব্যবহারকারী ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যালগরিদমকে প্রভাবিত করে ফেসবুকের রিচ ও মনিটাইজেশন–সুবিধা পেতে চান, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
মেটার পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্ল্যাটফর্মে যাঁরা অতিরিক্ত হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন, অস্বাভাবিকভাবে দীর্ঘ ক্যাপশন লেখেন অথবা কনটেন্টের সঙ্গে সম্পর্কহীন তথ্য জুড়ে দেন, তাঁদের পোস্টের রিচ কমিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এমন অ্যাকাউন্টগুলো আর ফেসবুকের মনিটাইজেশন প্রোগ্রামের আওতায় থাকবে না। মেটার ভাষ্য অনুযায়ী, এসব পোস্টের উদ্দেশ্য সব সময় ক্ষতিকর না হলেও এর ফলে ব্যবহারকারীদের ফিডে আসল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট ঢাকা পড়ে যায়।
উদাহরণ টেনে মেটা জানিয়েছে, অনেক সময় দেখা যায়, একটি সাধারণ প্রাণীর ছবি পোস্ট করে তার সঙ্গে বিমানের প্রযুক্তিগত তথ্যসংক্রান্ত ক্যাপশন জুড়ে দেওয়া হয়, যার কোনো বাস্তব সংযোগ নেই। একইভাবে নির্দিষ্ট কিছু নেটওয়ার্ক শত শত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে একই পোস্ট একাধিকবার ছড়িয়ে দেয়। এ ধরনের সমন্বিত প্রচেষ্টাও মেটার নজরে আসছে এবং সেগুলোকেও মনিটাইজেশন থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ঘোষণা দেন, তিনি ফেসবুককে ফিরিয়ে নিতে চান তার ‘মূল রূপে’। অর্থাৎ এমন একটি ফেসবুক, যেখানে ব্যবহারকারীরা তাঁদের বন্ধু, পরিবার এবং পরিচিতজনের বাস্তব জীবনের কনটেন্ট দেখতে পাবেন। মেটার সাম্প্রতিক এই উদ্যোগকে সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এদিকে ফেসবুকের কমেন্ট ব্যবস্থাপনাতেও পরিবর্তন আসছে। মেটা জানিয়েছে, যেসব মন্তব্যকে ফেক এনগেজমেন্ট হিসেবে শনাক্ত করা যাবে, সেগুলোর রিচ ও ভিজিবিলিটি কমিয়ে দেওয়া হবে। ব্যবহারকারীদের মতামতের ভিত্তিতে অপ্রাসঙ্গিক বা বিভ্রান্তিকর মন্তব্য চিহ্নিত করার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হচ্ছে নতুন একটি ফিচার। এ ছাড়া যেসব মন্তব্যকারী ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করেন বা অন্য কারও নাম-পরিচয় নকল করে মন্তব্য করেন, তাঁদের কমেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে লুকিয়ে রাখা হবে। কনটেন্ট নির্মাতারা চাইলে এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে রিপোর্টও করতে পারবেন।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কনট ন ট ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।