জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ১৫ জেলা অন্ধকারে
Published: 26th, April 2025 GMT
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় হওয়ার কারণে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) আওতাধীন দক্ষিণাঞ্চলের ১৫ জেলার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে বিদ্যুৎ চলে যায়। ফলে তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
ওজোপাডিকো সূত্রে জানা যায়, জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে ১৫ জেলার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে, সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বিপর্যয়ের কারণে খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ পদ্মার এপারের ১৫ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
খুলনা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোরসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিকেল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। ফলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা দক্ষিণাঞ্চল। অনেক স্থানে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। আবার কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুৎ এসেছে।
আরো পড়ুন:
লোডশেডিং সহনীয় মাত্রায় থাকবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের ১৭ ঘণ্টা পর এক ইউনিট চালু
খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, “নগরীর ময়লাপোতার মোড়ে বিকেল থেকে আছি। সাড়ে ৫টার পর এখানে বিদ্যুৎ চলে যায়। রাত ৭টা ৫০ মিনিটে একবার বিদ্যুৎ আসে। পরে আবার ৮টা ১৬ মিনিটে বিদ্যুৎ চলে যায়। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না।”
খুলনার রূপসা উপজেলার বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম বলেন, “বিকেলে বিদ্যুৎ চলে যায়। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে।”
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শাহাজাৎপুরের শুভ বিশ্বাস বলেন, “আজ বিকেল থেকে বিদ্যুৎ নেই। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।”
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওজোপাডিকোর সদর দপ্তরের নির্বাহী পরিচালক (পরিচালন) মো.
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৫০ ম ন ট সরবর হ ১৫ জ ল বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি
সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।
এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব