‘হামরা ছোট থাকি যেমন করি চাষবাস করি, তেমনই করি। আইজ অনেক কিছু শিখিলাম। সরকারকে বলমু যেন সারের আর বিজের দাম কমায় দেয়। আর এবার যেন ধানের দাম ঠিক থাকে, না হইলে না খাইয়া মরতে হইবো।’

রংপুর সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়ে মজিবর আলম নামে এক কৃষক এসব কথা বলেন।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ‘বাঁচলে কৃষক, বাঁচবে দেশ, উন্নয়নে বাংলাদেশ’ স্লোগানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কীটতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে এবং ঢাকা ব্যাংক পিএলসি সহযোগিতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মজিবর আলমের মতো উপস্থিত অন্যান্য কৃষকরাও তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। 

এ সময় কর্মশালার তত্ত্ববধায়ক শেকৃবির কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.

তাহমিনা আক্তার কৃষকদের মধ্যে ধানের বাদামি গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকার ক্ষতির ধরন ও দমন ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি কীভাবে সময়মতো পোকা শনাক্ত ও দমন করতে হবে, তা হাতে-কলমে শেখান, যাতে কৃষকরা তাদের ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারেন।

কর্মশালায় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোছা. শায়লা আফরোজ সেতু, মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসের কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

এছাড়া সহযোগী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি শিক্ষার্থী সাকিব মাহদি আজিজ, কাজী নাফিজ সোয়াদ, মাহফুজুর আলম শোভন, তাজিজুল ইসলাম তুহিন, ছওবান চৌধুরী ও আবুল খায়ের রাফি।

ঢাকা/মামুন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কখন দরুদ পাঠ করতে হয়

সাধারণভাবে দরুদ পাঠ করা পুণ্যের কাজ। তবে ৪টি স্থানে দরুদ পাঠ করা ইসলামে বিধিবিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

১. নামাজের শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পাঠের পরে। ফুজালা ইবনে ওবাইদ (রা.) হাদিস বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) শুনলেন, এক ব্যক্তি নামাজে এমনভাবে দোয়া করছে, যাতে আল্লাহর প্রশংসাও করে নি এবং নবীজির(সা.) প্রতি দুরুদও না। তিনি বললেন, ‘সে তাড়াহুড়া করেছে।’ তিনি তাকে ডাকলেন। এরপর তাঁকে বা অন্যদের বললেন, ‘আমাদের কেউ যখন নামাজ পড়ে, তখন সে যেন তার প্রতিপালকের প্রশংসা এবং স্তুতি বাক্য দিয়ে শুরু করে, তারপর নবীজির প্রতি দরুদ পড়ে। এবং শেষে তার খুশিমতো প্রার্থনা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,৪৮১)

২. মসজিদে প্রবেশের সময়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন নবীজির (সা.) প্রতি সালাম পাঠায় আর বলে, ‘আল্লাহুম্মা-ফ্‌তাহ্‌লী আবওয়াবা রহমাতিক’ (আল্লাহ, আমার জন্যে আপনার রহমতের দুয়ার খুলে দিন)।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৭৭২)

আরও পড়ুন‘আত-তাহিয়্যাতু’র মর্মবাণী কী১১ এপ্রিল ২০২৫

৩. আজানের পরে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) নবীজিকে(সা.) বলতে শুনেছেন, ‘যখন তোমরা মুয়াজ্জিনের আহ্বান শোনো, তখন তোমরাও তা বলো, যা সে বলে। তারপর আমার ওপর দরুদ পড়ো। নিশ্চয় যে আমার প্রতি একবার দরুদ পড়ে, বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তাকে দশবার আশীর্বাদ করবেন। তারপর আমার জন্যে ‘ওসিলা’ প্রার্থনা করো। কেননা, তা জান্নাতের একটি অধিষ্ঠান, আল্লাহর বান্দাদের প্রত্যেকের তা কামনা এবং আশা করছি, আমি সেখানেই থাকব। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার জন্য ওসিলা প্রার্থনা করবে, তার জন্য আমার সাফায়াত থাকবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩৮৩)

৪. এমন প্রতিটি সময় যখন নবীজির (সা.) নাম স্মরণ করা হয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ধ্বংস হোক সেই ব্যক্তির, যার সামনে আমার নাম উচ্চারিত হয়, অথচ সে আমার ওপর দরুদ পাঠ করে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৪৫)

আরও পড়ুনফজর নামাজ শয়তানের বিরুদ্ধে বিশ্বাসীদের বিজয়০৯ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ