ফেনীতে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার বালু জব্দ
Published: 26th, April 2025 GMT
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার সীমান্তবর্তী মুহুরী নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮ লাখ ঘনফুট অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। জব্দ করা বালুর আনুুমানিক বাজারমূল্য ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নদীর দুই পাড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ফেনী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত টাস্কফোর্স অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক। অভিযানে বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংশ নেন।
আরো পড়ুন:
ট্রেনে বিজিবির অভিযান, কোটি টাকার হেরোইন জব্দ
সোনারগাঁও ফরেস্ট স্টেশনে ২০০ ঘনফুট রদ্দা কাঠ জব্দ
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক বলেন, “জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মুহুরী নদী এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানে অন্তত ৮৯টি বালুর স্তুপ থেকে আনুমানিক ৮ লাখ ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়।”
তিনি আরো বলেন, “এ বছর মুহুরী নদীর কোনো অংশ ইজারা দেওয়া হয়নি। কতিপয় অসাধু ব্যক্তি অনুমতি ছাড়া বালু উত্তোলন করছিলেন। যে কারণে নদীর পাড়ের জনবসতি হুমকির মুখে পড়েছে।”
ফাহমিদা হক বলেন, “নদী এলাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত, বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা বালু সরকারি হেফাজতে রাখা হয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।”
ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, “সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। এ ধরনের তৎপরতা নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কখন দরুদ পাঠ করতে হয়
সাধারণভাবে দরুদ পাঠ করা পুণ্যের কাজ। তবে ৪টি স্থানে দরুদ পাঠ করা ইসলামে বিধিবিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১. নামাজের শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পাঠের পরে। ফুজালা ইবনে ওবাইদ (রা.) হাদিস বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) শুনলেন, এক ব্যক্তি নামাজে এমনভাবে দোয়া করছে, যাতে আল্লাহর প্রশংসাও করে নি এবং নবীজির(সা.) প্রতি দুরুদও না। তিনি বললেন, ‘সে তাড়াহুড়া করেছে।’ তিনি তাকে ডাকলেন। এরপর তাঁকে বা অন্যদের বললেন, ‘আমাদের কেউ যখন নামাজ পড়ে, তখন সে যেন তার প্রতিপালকের প্রশংসা এবং স্তুতি বাক্য দিয়ে শুরু করে, তারপর নবীজির প্রতি দরুদ পড়ে। এবং শেষে তার খুশিমতো প্রার্থনা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,৪৮১)
২. মসজিদে প্রবেশের সময়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন নবীজির (সা.) প্রতি সালাম পাঠায় আর বলে, ‘আল্লাহুম্মা-ফ্তাহ্লী আবওয়াবা রহমাতিক’ (আল্লাহ, আমার জন্যে আপনার রহমতের দুয়ার খুলে দিন)।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৭৭২)
আরও পড়ুন‘আত-তাহিয়্যাতু’র মর্মবাণী কী১১ এপ্রিল ২০২৫৩. আজানের পরে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) নবীজিকে(সা.) বলতে শুনেছেন, ‘যখন তোমরা মুয়াজ্জিনের আহ্বান শোনো, তখন তোমরাও তা বলো, যা সে বলে। তারপর আমার ওপর দরুদ পড়ো। নিশ্চয় যে আমার প্রতি একবার দরুদ পড়ে, বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তাকে দশবার আশীর্বাদ করবেন। তারপর আমার জন্যে ‘ওসিলা’ প্রার্থনা করো। কেননা, তা জান্নাতের একটি অধিষ্ঠান, আল্লাহর বান্দাদের প্রত্যেকের তা কামনা এবং আশা করছি, আমি সেখানেই থাকব। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার জন্য ওসিলা প্রার্থনা করবে, তার জন্য আমার সাফায়াত থাকবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩৮৩)
৪. এমন প্রতিটি সময় যখন নবীজির (সা.) নাম স্মরণ করা হয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ধ্বংস হোক সেই ব্যক্তির, যার সামনে আমার নাম উচ্চারিত হয়, অথচ সে আমার ওপর দরুদ পাঠ করে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৪৫)
আরও পড়ুনফজর নামাজ শয়তানের বিরুদ্ধে বিশ্বাসীদের বিজয়০৯ এপ্রিল ২০২৫