সমুদ্রেই বসবাস এই মানুষদের, তাঁদের দেখতেই গিয়েছিলাম মালয়েশিয়ায়
Published: 26th, April 2025 GMT
বিবিসির ‘হিউম্যান প্ল্যানেট’ সিরিজের বিরাট ভক্ত ছিলাম। এই ডকুমেন্টারি সিরিজেরই একটি পর্বে বাজাউ সম্প্রদায়ের মানুষদের সম্পর্কে প্রথম জানি। সমুদ্রেই তাদের বাস। তাদের নির্দিষ্ট কোনো দেশ নেই। এককথায় সমুদ্রের যাযাবর এসব মানুষ জল আর নীল আকাশের মধ্যে নিজস্ব এক জগতে বাস করে। তাঁরা নাকি হাতে তৈরি কাঠের গগলস পরে কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই ১৫ মিনিট পর্যন্ত পানির নিচে অবস্থান করে মাছ ধরতে পারে!
তার পর থেকেই নানা সময় বাজাউদের দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনাটাকে বাস্তব রূপ দেওয়া গেল। দক্ষিণ ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও উপকূলে বিচ্ছিন্নভাবে বাস করে বাজাউরা। বাজাউদের গ্রামে যাওয়ার বিস্তারিত কোনো দিকনির্দেশনা অনলাইনে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এসব গ্রামে ভ্রমণের কোনো প্যাকেজ ট্যুরও এজেন্সিগুলোর নেই। প্রথমে ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে বাজাউদের গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু কয়েক দিনের চেষ্টার পর সেই পরিকল্পনা বাদ দিতে হলো। কারণ, এলাকাটা দুর্গম আর নিরাপত্তাঝুঁকিও আছে। রোমাঞ্চের টানে এই দূর দেশে এসেছি সত্য, কিন্তু নিরাপত্তাঝুঁকি তো আর নিতে পারি না।
বোর্নিও উপকূলে বাজাউদের নুসা তেঙ্গাহ গ্রাম.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।