সিলেটে পর্যটনকেন্দ্রে পাথর লুটের সময় ৯ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড
Published: 26th, April 2025 GMT
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর এলাকায় কয়েক দিন ধরে পাথর লুট করছিল একটি চক্র। এ খবর পেয়ে আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা সাত ঘণ্টা স্থানীয় প্রশাসনের টাক্সফোর্স অভিযান চালায়। এ সময় পাথর উত্তোলনকারী ৯ জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সকাল ছয়টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর, কালাইরাগ ও বাঙ্কার এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে টাক্সফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার।
এ সময় পাথর উত্তোলনে জড়িত ১০ জনকে অভিযানকারী দল আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে পাথর লুটে সম্পৃক্ত থাকায় নয়জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালদের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া আটক ব্যক্তিদের একজনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাঁকে সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দলইরগাঁওয়ের মোহাম্মদ আলীম উদ্দিন, নতুন মেঘারগাঁওয়ের মকবুল হোসেন, দক্ষিণ কলাবাড়ির মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কালাইরাগের ফুল মিয়া, গোয়াইনঘাট উপজেলার লাকি গ্রামের ইকবাল মাহমুদ ও মোহাম্মদ কিবরিয়া আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বাসাকর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও আলী নূর এবং কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের মোহাম্মদ জজ মিয়া।
অভিযান-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অভিযান চলাকালে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীরা সংঘবদ্ধভাবে তিন দিক থেকে অভিযানকারীদের ওপর পাথর ছুঁড়ে হামলা চালায়। পরে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা পাথর লুটপাটকারীদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যান। এ সময় আভিযানিক দলটি ২০টি পাথরবাহী নৌকা ধ্বংস করে পানিতে ডুবিয়ে দেয়। এ ছাড়া আরও ১৮টি নৌকা জব্দ করে বিজিবির জিম্মায় দেয়। এ সময় ১০ জনকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার প্রথম আলোকে বলেন, পাথর লুটপাটের খবর পেয়ে টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১০ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৯ জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাথর লুট বন্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ উপজ ল র বছর কর এ সময়
এছাড়াও পড়ুন:
ভাত খেতে না পারা সেই রাব্বির পাশে ইউএনও
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে জন্মের পর থেকে ভাত খেতে না পারা সেই রাব্বি ইসলামের (২০) পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও জিল্লুর রহমান। শুক্রবার তাঁকে দেখতে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান ইউএনও। এ সময় রাব্বি ও তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর চিকিৎসায় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
গত ১৪ এপ্রিল সমকালে ‘জীবনে কখনও ভাত খাননি রাব্বি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর আগে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ হয় সমকাল ডিজিটালে। প্রতিবেশী বসিরুল ইসলাম আকন্দ ও মতিয়ার রহমান জানান, রাব্বির ভাত না খাওয়ার সংবাদ প্রকাশের পর ইউএনও তাঁর বাড়িতে এসেছেন।
রাব্বির বাবা রমজান আলীও একই তথ্য জানিয়ে বলেন, রাব্বির চিকিৎসার বিষয়ে আশস্ত করায় তারা খুশি। ইউএনও জিল্লুর রহমান বলেন, রাব্বি ভাত খাননি জানতে পেরে তাঁর বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে।
জানা গেছে, রাব্বির ছয় মাস বয়সে মুখে ভাত দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবার বমি করে ফেলতেন। জোর করে খাওয়ালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর থেকে কখনও ভাত খাননি।
রাব্বির বাড়ি উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামে। তাঁর বাবা রমজান আলী পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বর্তমানে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। চাল দিয়ে তৈরি বিরিয়ানি, পায়েস ও শাকসবজিও খেতে পারেন না তিনি।
রাব্বি দুই বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ও গরুর দুধ খেয়েছেন। এখন নুডলস, মাছ, মাংসের তরকারি তাঁর খাবার।