৩০ কোটির স্পনেরশিপ, ৫ শতাংশ মুনাফা-আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বিসিবির
Published: 26th, April 2025 GMT
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন হয়। সেখানে দাবি করা হয় বিসিবি প্রেসিডেন্ট বোর্ডের টাকা নিজের স্বার্থে সরিয়েছেন অন্য ব্যাংকে।
বিবৃতিতে বিসিবি দাবি করে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর স্থায়ী আমানত থেকে মুনাফা বৃদ্ধি হয়েছে ২–৫% আর ব্যাংকিং অংশীদারদের কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকার বেশি স্পনসরশিপ প্রতিশ্রুতি।
রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য বিবৃতি হুবহু তুলে ধরা হলো…
আরো পড়ুন:
হৃদয়ের শাস্তি হাস্যকর, মোহামেডানের চাপ ছিল কি না সেটা জরুরি না: তামিম
মানহীন পারফরম্যান্সে ক্রিকেট বাজারে অস্থিরতা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জাতীয় গণমাধ্যমের কিছু অংশে বোর্ডের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিসিবির মতে, এসব প্রতিবেদন ভ্রান্ত, ভুল তথ্যভিত্তিক এবং বোর্ড ও এর সভাপতি জনাব ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে।
বিসিবি তার সকল আর্থিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। সাম্প্রতিক অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে, বোর্ড জনগণ এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রতি প্রতিশ্রুত সাংবাদিকদের সুবিধার্থে নিম্নলিখিত ব্যাখ্যাগুলো প্রদান করছে:
২০২৪ সালের আগস্টে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর জনাব ফারুক আহমেদ বোর্ডের আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকারে রেখেছেন, বিশেষত বিগত বছরগুলোর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের গণআন্দোলনের পর দেশের অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, বিসিবি তার ব্যাংকিং সম্পর্কগুলোর পুনর্মূল্যায়ন করে এবং কৌশলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত গ্রীন ও ইয়েলো জোনভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথেই বোর্ড আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে, বিসিবি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে এবং এর মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা গ্রীন ও ইয়েলো জোনভুক্ত ব্যাংকগুলোতে পুনঃবিনিয়োগ করে। অবশিষ্ট ১২ কোটি টাকা বিসিবির দৈনন্দিন পরিচালন ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্ধারিত একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে যে, পার্টনার ব্যাংকগুলোর সাথে বিসিবির আর্থিক বিষয়ক লেনদেনে স্বাক্ষরপ্রদানকারী দুজন বোর্ড পরিচালক - বোর্ডের ফিনান্স কমিটি চেয়ারম্যান জনাব ফাহিম সিনহা ও টেন্ডার ও পারচেজ কমিটি চেয়ারম্যান জনাব মাহবুবুল আনাম I বোর্ড সভাপতি কোন একক সিদ্ধান্তবলে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের অজ্ঞাতে ব্যাঙ্ক পরিবর্তনের নির্দেশ প্রদান করেন না এবং তিনি ব্যাংকিং বিষয়ে স্বাক্ষর প্রদানকারী ননI
বিসিবি অবগত যে, কিছু সুবিধাভোগী মহল এবং ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী, যারা ক্রিকেট প্রশাসনের ভিতরেও সক্রিয়, বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই কারণেও বিসিবি তার আর্থিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিসিবি তার অর্থ ও স্থায়ী আমানত সংরক্ষণের দায়িত্ব ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকের হাতে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কেবল বিসিবির আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি, বরং প্রতিযোগিতামূলক মুনাফা প্রাপ্তির মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করেছে। এর ফলে, পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বিসিবির স্থায়ী আমানত থেকে ২–৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত মুনাফা হয়েছে।
গত ছয় মাসে বিসিবি তার বর্তমান তিনটি ব্যাংকিং অংশীদারের কাছ থেকে আনুমানিক ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ পেয়েছে। এছাড়াও, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিসিবির অংশীদার ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের আশ্বাস পাওয়া গেছে, যা এই আর্থিক সম্পর্কগুলোর দৃঢ়তা ওe গভীরতা নির্দেশ করে।
বিসিবি সর্বোচ্চ মানের আর্থিক শাসন ব্যবস্থা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রকৃত ও তথ্যভিত্তিক উৎস থেকে তদন্ত ও পর্যালোচনাকে স্বাগত জানায়। পাশাপাশি, গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হচ্ছে যেন তারা ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকে, যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও এর সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ২০২৪ স ল র র আর থ ক
এছাড়াও পড়ুন:
আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফয়েজ হামিদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার–সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফয়েজ হামিদকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি সামরিক আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ফয়েজ হামিদ ২০২৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আইএসআইয়ের প্রধান ছিলেন। ওই সময় পাকিস্তানের সরকারপ্রধান ছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান এখন কারাগারে আছেন।
ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন ফয়েজ হামিদ। ইমরান খান তাঁকে আইএসআইয়ের প্রধান করেছিলেন। ২০২২ সালে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হলে নির্ধারিত সময়ের আগে অবসরে যান গোয়েন্দাপ্রধান ফয়েজ হামিদ।
পাকিস্তানের সামরিক প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধানের পর আইএসআইয়ের প্রধানকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটিতে এর আগে আইএসআইয়ের কোনো প্রধানকে কখনোই সামরিক আদালতে বিচার করা হয়নি।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট এ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে পাকিস্তানের সামরিক আইনের আওতায় বিচার কার্যক্রম চলেছে।
ফয়েজ হামিদের আইনজীবী মিয়া আলি আশফাক বলেন, বর্তমানে সেনা হেফাজতে থাকা তাঁর মক্কেল ‘এক হাজার শতাংশ’ নির্দোষ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তিনি।
আরও পড়ুনপাকিস্তানে প্রথমবারের মতো বিচারের মুখে সাবেক আইএসআই প্রধান১২ আগস্ট ২০২৪