৩শ’ শয্যা হাসপাতালের রোগীদের সেবায় জেলা প্রশাসনের হুইল চেয়ার বিতরণ
Published: 26th, April 2025 GMT
৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জের রোগীদের সেবায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হুইল চেয়ার বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল দশটায় শহরের খানপুর এলাকায় ৩০০ শয্যা হাসপাতালে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা হাসপাতালের প্রতিটি স্থান ও ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বলেন।
এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে সেবা নিতে আসা অসুস্থ রোগীদের জন্য পাঁচটি হুইল চয়ার বিতরণ করলাম।
তারা রিক্সা কিংবা ভ্যান করে হাসপাতালে আসার পরে হেঁটে হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারে না সেইসব রোগীদের জন্য এই হুইল চেয়ার।
আগে যে হুইল চেয়ার গুলো ছিল তার অধিঅংশই নষ্ট হয়ে গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে অনুরোধ করেছিল রোগীদের সবার জন্য কিছু হুইল চেয়ার দেওয়ার জন্য আমরা তাদের সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতেই আমরা আজকে হুইল চেয়ার গুলো তাদের মাঝে বিতরণ করলাম।
আমরা জানি হাসপাতালে যারা আসেন তারা সবচেয়ে অসহায় মুহূর্তে এবং অসহায় রোগীরাই আসেন। যখন তারা অসহায় সময়টা আসবেন তারা যেন তাদের সঠিক সেবাটা পায়।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমরা এই হাসপাতালের একটা গ্রীন এন্ড ক্লিন একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। সে আলোকেই আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজ শুরু করেছি। এই হাসপাতালে তারা অনেকটাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছে অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে।
আর হাসপাতালে যে বর্জ্য ব্যবস্থা রয়েছে সে বিষয়ক কথা হয়েছে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা এটাকে কিভাবে পরিষ্কার করা যায় এবং ডেইলি নেওয়া যায় সেটা আমরা চেষ্টা করব। আর এই হাসপাতালে আমরা এক হাজারের মতন গাছ লাগাব হাসপাতালকে সবুজের অরণ্য হিসেবে গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, আমরা আজকে হাসপাতালের প্রতিটি স্থান ও ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেছি এবং সেবা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বলেছি। আপনারা যেন হাসপাতাল থেকে সেবা নিয়ে যাওয়ার পরে অনেকেই সেটিসফেশন করে না এবং আমাদের কাছে অনেক ধরনের অভিযোগ করেছে।
কিন্তু আজকে আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা কিন্তু আমাদেরকে বলেছে যে না আমরা এখানে সঠিক সেবা পাচ্ছি। তবে আউট সাইডে মাদকাসক্তরা রয়েছে তার বিভিন্ন সময় চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা আছে।
এগুলো প্রতিরোধে আমরা আজ থেকে এখানে মোবাইল নিয়মিত মোবাইল কোড পরিচালনা করব। রাতে করে আজকের পর থেকে এখানে কোন মাদকাসক্ত বা না আসতে পারে এবং চুরির বিষয়টা আমরা কঠোরভাবে মনিটরিং করব।
তিনি আরও বলেন, এটি কিন্তু একটি বড় ধরনের হসপিটাল। আমাদেরকে অবশ্যই এখানে সিকিউরিটিটা এন্ড শিওর করতে হবে। আগামী মাসে আমাদের পাশের যে নতুন ভবনটিও রয়েছে এটার চারতলা পর্যন্ত কমপ্লিট হয়েছে। আগামী মাসে আমরা মিনিস্টারিতে কথা বলব এটার অনুভূতি পেলে আমরা এর কার্যক্রম চালু করব।
এর মাধ্যমে এর কার্যবিধি বৃদ্ধি পাবে আর আমরা এখানে একটি আনসার ফোর্স নিয়োগ থাকবে যাতে করে এখানকার সিকিউরিটি ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। এখানে যারা আনসাররা থাকবে তাদের রুমগুলোকে আমরা সংস্কার করে দিব।
যদি এখানে কমপ্লিট একটিভ আনসার টিম পাই তাহলে রাতের বেলা এখানে সিকিউরিটিটা জোরদার হবে এবং চুরিও মাদক থেকে আমরা উত্তোলন হতে পারব।
আর হাসপাতালে দালালদের বিষয়ে আমাদের কঠোর নির্দেশনা নির্দেশনা রয়েছে। যদি তাদের সাথে আমাদের কোন কর্মকর্তা জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আবুল বাসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আম দ র ক পর ষ ক র র জন য ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ২
বন্দর উপজেলার আমিরাবাদ বটতলা স্ট্যান্ড এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
ফেসবুকে এক নারীর সঙ্গে পরিচয়ের পরে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে এসে অপহরণের শিকার হয় ওই শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বন্দরের নবীগঞ্জ ও উত্তর নোয়াদ্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ঢাকার বংশাল থানাধীন নাজিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা মোঃ আব্দুল হকের পুত্র শিক্ষার্থী মোঃ মাহিন উদ্দিন নাঈম (২২) বাদি হয়ে বন্দর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা হলো, বন্দরের উত্তর নোয়াদ্দা ডায়াবেটিকস্ হাসপাতালের পিছনে সোহরাব মৃধার পুত্র মোঃ শান্ত হাসান (২০) ও নবীগঞ্জ কাইতাখালী এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত মাসুম রেজার পুত্র মাহমুদুল হাসান সুখন (২২)।
পলাতক আসামীরা হলো, নোয়াদ্দা বড় মসজিদ এলাকার সোহান (২৭), কাইতাখালির তাইজুল ইসলামের পুত্র পারভেজ ওরফে বাবু (২৪), উত্তর নোয়াদ্দার আলতাবের পুত্র রিহান (২০), রাহা মনি ওরফে রুহিসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জন।
মামলার এজাহারে বাদি মোঃ মাহিন উদ্দিন নাঈম (২২) উল্লেখ করেন তিনি শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজে দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে বন্দরের রাহা মনি ওরফে রুহি (২২) নামের এক নারীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে শিক্ষার্থী নাঈম রাহা মনি ওরফে রুহির সঙ্গে দেখা করার জন্য গত ২৩ এপ্রিল বিকেলে বন্দর থানাধীন আমিরাবাদ বটতলা ষ্ট্যান্ডে আসে।
এসময় রাহা মনি ওরফে রুহির সহযোগিতায় ১০/১২ জনের একটি অপহরণকারী চক্র শিক্ষার্থী মোঃ মাহিন উদ্দিন নাঈমকে অপহরণ করে একটি অজ্ঞাতনামা বিলে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা শিক্ষার্থী নাঈমকে আটকে তাদের হাতে থাকা কাঠের ডাসা দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতারী বারি মেরে নিলামুলা জখম করে এবং এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
এসময় তার মানিব্যাগে থাকা নগদ সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং একটি আইফোন (যার মূল্য ৩২ হাজার পাঁচশ টাকা) লুটে নেয়। পরে শিক্ষার্থী নাঈমের বাবার ফোনে কল করে মুক্তিপণ দাবি করলে তার বাবা বিকাশের মাধ্যমে নগদ ৫ হাজার টাকা পাঠায়।
পরে অপহরণকারীরা শিক্ষার্থী নাঈমকে ১৪ ঘন্টা আটকে রেখে ২৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে শিক্ষার্থী নাঈম স্থানীয়দের সহযোগিতায় বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ প্রথমে অভিযান চালিয়ে মোঃ শান্ত হাসানকে গ্রেফতার করে।
পরে শান্ত হাসানের তথ্য মতো ২নং আসামী মাহমুদুল হাসান সুখনকে গ্রেফতার করে। এসময় মাহমুদুল হাসান সুখনের কাছ থেকে শিক্ষার্থী নাঈমের আইফোন জব্দ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।