বরগুনার পাথরঘাটায় কোস্টগার্ডের অভিযানে ৯০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এ সময় হরিণ শিকারে ব্যবহৃত একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের ট্রলারও জব্দ করা হয়। তবে অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড। আজ শনিবার বেলা দুইটায় কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সাগর মোহনার হরিণঘাট এলাকায় একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ৯০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়। কোস্টগার্ড সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রলারে থাকা ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। পরে জব্দ করা ট্রলারসহ মাংস পাথরঘাটা বন বিভাগে হস্তান্তর করা হয়।

পাথরঘাটা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জব্দ করা ৯০ কেজি হরিণের মাংস আমাদের হেফাজতে রয়েছে। আজ আদালত বন্ধ থাকায় মাংস সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। আগামীকাল রোববার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এইচ এম হারুন অর রশীদ বলেন, বনদস্যুতা ও বনজ সম্পদ রক্ষায় কোস্টগার্ড জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। হরিণ শিকার ও পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প থরঘ ট ৯০ ক জ

এছাড়াও পড়ুন:

আড়িয়াল বিলের মাটি কাটা বন্ধে বসবে চেকপোষ্ট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আড়িয়াল বিলের বৈচিত্র্য যেন কোনো অবস্থাতেই নষ্ট না হয় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে, অবৈধ মাটি কেটে বিক্রি বন্ধে চেকপোস্ট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের শ্রীধরপুর এলাকায় আড়িয়াল বিলের ধান কাটা ও মাড়াই কার্যক্রম উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।

কর্মসূচিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানসহ সংশ্লিষ্টরা।

এ সময় স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা সংকট নিরসনের মতবিনিময় সভায় আলোচনায় বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর দেন উপদেষ্টারা।

পরে কৃষকদের নানা দাবির বিষয়ে স্বরাষ্ট উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, আড়িয়াল বিলে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করতে ব্যবস্থা ও বিল ঘিরে স্থানীয় খালগুলো খননের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কৃষকদের শাকসবজি সংরক্ষণে দুটি হিমাগারও নির্মাণের কথাও জানান তিনি।

দুর্নীতি বন্ধে সবার আগে চেষ্টার কথা উল্লেখ্য করে উপদেষ্টা আরো বলেন, যেখানেই সরকারি কল-কারখানা সেখানেই দুর্নীতি শুরু হয়। দুর্নীতি বন্ধ হলে দেশ এগিয়ে যাবে।

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, জেলা কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার মোহন্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ