বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং হাজারো শোকাহত মানুষের উপস্থিতিতে রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে সমবেত ভক্তরা পিনপতন নীরবতায় অপেক্ষা করছিলেন। ভ্যাটিকানের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) বাজার পরপরই শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে পোপ ফ্রান্সিসের কফিন নিয়ে আসা হয়। উপস্থিত জনতা তখন নীরবতা ভেঙে করতালি দেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ বিশ্বনেতাদের অনেকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় শামিল হয়েছেন।

আর্জেন্টিনার বংশোদ্ভূত পোপ ফ্রান্সিস গত সোমবার ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। তিনি ১২ বছর ধরে পোপের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় গির্জাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক পথে পরিচালিত করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন ফ্রান্সিস।

শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পোপের মরদেহবাহী কফিনটি তিন দিন ধরে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা গির্জায় রাখা হয়েছিল। এ সময় ২ লাখ ৫০ হাজারের মতো মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

৫০টির বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অতিথির তালিকায় রয়েছেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানকে ঘিরে ইতালি ও ভ্যাটিকান সিটির কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে, যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং ছোট নগররাষ্ট্রটির বিভিন্ন ভবনের ছাদে স্নাইপার মোতায়েন করা হয়েছে।

৫০টির বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অতিথির তালিকায় রয়েছেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানকে ঘিরে ইতালি ও ভ্যাটিকান সিটির কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে, যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং ছোট নগররাষ্ট্রটির বিভিন্ন ভবনের ছাদে স্নাইপার মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুনপোপ ফ্রান্সিসকে শ্রদ্ধা জানাতে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় প্রধান উপদেষ্টা৬ ঘণ্টা আগে

পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভ্যাটিকানের নয় দিনের আনুষ্ঠানিক শোককাল শুরু হয়েছে। শোককাল শেষে বিশ্বের ১৪০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের জন্য নতুন নেতা নির্বাচন করতে কার্ডিনালরা গোপন সমাবেশ (কনক্লেভ) করবেন।

পোপ ফ্রান্সিসের বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপের কারণে ধর্মীয় রক্ষণশীলদের অনেকে তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। অভিবাসীদের প্রতি অন্যায় আচরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতির বিরুদ্ধে তাঁর সোচ্চার ভূমিকা অনেক বিশ্বনেতাকেও অস্বস্তিতে ফেলেছিল। এরপরও ফ্রান্সিস তাঁর সহানুভূতি ও ব্যক্তিত্বের মাধুর্য দিয়ে অনেকের ভালোবাসা ও সম্মান অর্জন করেছেন।

আরও পড়ুন‘শান্তি অসম্ভব, যত দিন অস্ত্রের ঝনঝনানি পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে’২৩ এপ্রিল ২০২৫

অভিবাসীদের গণহারে বিতাড়িত করার কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনও পোপের রোষের মুখে পড়েছিল। তবে পোপের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া গতকাল শুক্রবার রাতে ভ্যাটিকানে পৌঁছান। ট্রাম্প পোপকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি বিশ্বকে ভালোবাসতেন।’

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এটি তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। তিনি এখানে বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক হতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে হট্টগোলের পর এটি হবে তাঁদের প্রথম বৈঠক।

আরও পড়ুনমারা গেলেন পোপ ফ্রান্সিস২১ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ত য ষ ট ক র অন ষ ঠ ন কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন মাহি

গেল কয়েক বছরে অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন সামিরা খান মাহি। সম্প্রতি একাধিকবার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন তিনি। সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে একাধিকবার। বৃহস্পতিবার হঠাৎ মাহি জানান, প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেছে তার। এরপর থেকেই সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। সেই প্রেম নিয়ে আবারও মুখ খুললেন মাহি। জানালেন সম্পর্ক ভাঙেনি।

সামিরা খান মাহি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার আর সাদাত সাফি নাবিলের সম্পর্ক ঠিক আছে। সব সম্পর্কেই ঝামেলা হয়, সেগুলো আবার ঠিকও হয়ে যায়। আমি কিন্তু কোথাও বলিনি, আমাদের ব্রেকআপ হয়ে গেছে। চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক আমাদের। একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম শুধু যে, বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এটাকেই মানুষ ভিন্নভাবে নিয়েছে।’

বৃহস্পতিবার ইন্সটাগ্রামে মাহি লেখেন, ‘গত কয়েকটা দিন ভীষণ কষ্টের কেটেছে। ট্রলড হওয়ার কষ্ট, বোনের বিয়ের দায়িত্বের চাপ, আর নিজের সম্পর্কের টানাপোড়েন-সব মিলিয়ে ভিতরটা একেবারে খালি খালি লাগছে। সত্যি বলতে, খুব ক্লান্ত, খুবই এলোমেলো লাগছে নিজেকে। আমি ভুল করেছি, যা অনেককেই কষ্ট দিয়েছে, এটাও আমি বহন করে গেছি। আমি জানি আমি হৃদয় ভেঙেছি, এর জন্য আমি দুঃখিত। সত্যিই আমি ভেঙে পড়েছি- আর এটা বলতে ভয় পাই না আমি।’

ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে চোখের জলের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার এই দুর্বলতম সময়েও আমি জানি, উঠে দাঁড়ানোর শক্তি আমাকে ছেড়ে যায়নি। আমি এখন শুধুই ক্লান্ত, তবে পরাজিত নই। যদি সবার সঙ্গে হাসি শেয়ার করা যায়, তাহলে আমি বলবো চোখের জলও শেয়ার করা যায়। জীবন খুব ভালো করেই দেখেছেন অভিনেত্রী। হয়তো সে কারণেই লিখেছেন, জীবন সবসময় সাজানো-গোছানো আর নিখুঁত হয় না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ