দুই ভাইয়ের তুলনায় বেন কারেনের মেজাজ এখন একটু আলাদা। বড় ভাই টম কারেন আছেন পিএসএলে, আর ছোট ভাই স্যাম কারেন আইপিএলে। দুই ভাই যখন ধুমধাড়াক্কা ফ্র্যাঞ্চাইটি টি–টোয়েন্টি লিগে, বেন তখন টেস্ট সিরিজ খেলছেন বাংলাদেশে। সংস্করণ বিচারে একদম ভিন্ন মানসিকতা নিয়েও ভাইদের জন্য আইপিএল ও পিএসএলে চোখ রাখতে হচ্ছে জিম্বাবুয়ে ওপেনারকে।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জেতা জিম্বাবুয়ের প্রথম টেস্টে বেন ভালোই করেছেন। প্রথম ইনিংসে তাঁর ৫৫ বলে ১৮ রানে ভালো সঙ্গ পেয়েছেন আরেক ওপেনার ব্রায়ান বেনেট। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ৭৫ বলে ৪৪ রানের ইনিংসটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সোমবার শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন বেন। সেখানেই তাঁর কাছে উঠেছিল স্যাম ও টমের আইপিএল ও পিএসএল খেলার প্রসঙ্গ।

বাংলাদেশে বসে তাঁদের খেলার খোঁজখবর রাখেন কি না—এ প্রশ্নে বেন বলেছেন এভাবে, ‘হ্যাঁ, খেলা দেখি। গত রাতেও তো দেখলাম। যখনই তাদের খেলা থাকে, আমি নিয়মিত দেখি।’

একসঙ্গে তিন ভাই (বাঁ থেকে) স্যাম কারেন, টম কারেন ও বেন কারেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুদ্রার ওপিঠ দেখে ফেললেন রিশাদ

পিএসএলের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বাজে ম্যাচটা খেললেন রিশাদ হোসেন। আগের ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ে দুই উইকেট পেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) তার দল লাহোর কালান্দার্সের হতশ্রী পারফরম্যান্সের দিনে উইকেটশূন্য থাকলেন এই টাইগার লেগ স্পিনার।

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রথমে বোলিং করে লাহোর কালান্দার্সকে চেপে ধরে পেশোয়ার জালমি। ৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে শাহিন আফ্রিদিরা। আলজার্রি জোসেফ ধ্বংসযজ্ঞ চালান লুক উড, অনূর্ধ্ব-১৯ তারকা আলি রাজা এবং হুসাইন তালতকে সঙ্গে নিয়ে। এরপর লাহোরকে কিছুটা সামাল দেন সিকান্দার রাজা, যিনি ৭ নম্বরে নেমে ৩৭ বলে ৫২ রান করেন। তার ইনিংসের ওপর ভর করেই লাহোর শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১২৯ রানে।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় পেশোয়ার জালমি শুরুতেই ধাক্কা খায়। দলীয় ৭ রানে ২ উইকেট হারায়। তবে অধিনায়ক বাবর আজম দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে সামাল দেন এবং মৌসুমের প্রথম ফিফটি করেন। তিনি ৩০ বলে ৪৫ রান করেন এবং ফিফটি স্পর্শ করতে আরও ৭ বল নেন। তবে ম্যাচের সেরা পারফরমার হিসেবে আবির্ভূত হন হুসাইন তালত। তিনি ৫১ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করার পাশাপাশি ২.২ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেটও নেন। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পেশোয়ার জালমি ২০ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে।

গতকাল ব্যাট হাতে আটে ব্যাটিং করেন রিশাদ। ক্যামিও ইনিংস খেলার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশের তারকা থেমেছেন মিয়ম্রাণ হয়েই। ১৩ বলে করেন ১৩ রান। হাঁকিয়েছেন একটি করে চার ও ছক্কা।

ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ছিলেন ছন্নছাড়া। দুই ওভার বল করে খরচ করেছেন ১৮ রান। পারেননি সুযোগও তৈরি করতে। তাতেই উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষ থেকে নেমেছেন চার নম্বরে। ৪ ম্যাচে টাইগার স্পিনারের উইকেট সংখ্যা আগের মতোই, আটটি। ১২ উইকেট নিয়ে শীর্ষে জেসন হোল্ডার।

এই জয়ে পিএসএল টেবিলে চার নম্বরে উঠেছে বাবরের দল পেশোয়ার। ৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট চার। সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে রিশাদদের লাহোর। শীর্ষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। আগামীকাল (২৬ এপ্রিল) রাত নয়টায় মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে লড়বে লাহোর।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাহিদ যাচ্ছেন আজ
  • মুদ্রার ওপিঠ দেখে ফেললেন রিশাদ
  • পেহেলগামে হামলার পর ভারতে পিএসএলের সম্প্রচার বন্ধ
  • পিএসএল সম্প্রচারে পাকিস্তানে আটকা পড়েছেন ভারতীয় সম্প্রচারকর্মীরা
  • পেহেলগাম হামলার জেরে ভারতে বন্ধ পিএসএল সম্প্রচার
  • ভারতে পিএসএলের সম্প্রচার বন্ধ
  • পিএসএলে পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে ‘ঢিল’ মারার অভিযোগ, উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়