ঘুম

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মাইগ্রেন বা স্ট্রেসজনিত মাথাব্যথা বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—

১. দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

২. প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।

৩. একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় ঘুমের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

খাদ্যাভ্যাস

কিছু কিছু খাবারের সঙ্গে মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা সম্পর্কিত। যথা সময়ে না খাওয়া বা অনেকক্ষণ অনাহারে থাকা মাথাব্যথার রোগীদের জন্য ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—

১.

নিয়মিত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে হবে।

২. প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে।

৩. কিছু খাবার (লবণাক্ত, অধিক চিনিযুক্ত, সোডাজাতীয় পানীয়) পরিহার করতে হবে বা কম খেতে হবে।

৪. পনির ও চকলেট কিছু ক্ষেত্রে মাথাব্যথা বাড়াতে পারে, সে ক্ষেত্রে এসব খাবার পরিহার বা কম খাওয়া উত্তম।

সুস্থ শরীরের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা জরুরি

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কারের পক্ষে ‘মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি দেবে ইসলামী আন্দোলন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সময় দিতে চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলটির নেতারা একাধিকবার জানিয়েছেন, সংস্কারের আগে নির্বাচন মেনে নেবেন না তাঁরা। সংস্কারের পক্ষে দলটি শিগগিরই ‘মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি দেবে বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম।

আজ শনিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত এক সমাবেশে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অচিরেই মার্চ ফর ঢাকা ঘোষণা দেব। লাখ লাখ, কোটি কোটি মানুষ ঢাকায় জমায়েত করব। (আমরা জানতে চাই) কারা সংস্কারের পক্ষে আর কারা বিপক্ষে। জনগণই নির্ধারণ করবে আগে সংস্কার হবে নাকি নির্বাচন হবে।’

ভারতের ওয়াক্‌ফ আইনের প্রতিবাদ এবং নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। কেবলই নির্বাচন, নির্বাচন। আগে সংস্কার হবে, তারপর নির্বাচন হবে। সংস্কারের বাইরে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন মানবে না। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে টেস্ট হিসেবে আমরা স্থানীয় নির্বাচন চাই। স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারলে বুঝব জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে। নাহলে বুঝতে হবে, নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি।’

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, ‘শুধু কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান এবং কমিশন বাতিল করলেই হবে না; বরং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’ ভারতে ওয়াক্‌ফ আইন পরিবর্তন করে সে দেশে মুসলমানদের নির্মূল করার অপচেষ্টা চলছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ, ওআইসিসহ সব সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।

গণমিছিল–পূর্ববর্তী এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনূস আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসাইন জাফরী, সংখ্যালঘুবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মকবুল হোসাইন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ