হাইব্রিড গাড়ির সম্পুরক শুল্ক কমানোর দাবি
Published: 26th, April 2025 GMT
হাইব্রিড গাড়ি মধ্যবিত্তের কেনার সামর্থ্যের মধ্য আনতে সম্পূরক শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারক ও ডিলার সমিতি (বারভিডা)। এর ফলে বাজার সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে।
আজ শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করের বারভিডার নেতারা। সেখানে আগামী অর্থবছরের বাজেটের জন্য এ প্রস্তাব করা হয়। বারভিডার পক্ষ থেকে সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি আবদুল হক।
আবদুল হক বলেন, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাওয়ায় গত কয়েক বছরে দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির আমদানি ও বিক্রি লক্ষণীয় হারে কমে গেছে।
বর্তমানে হাইব্রিড গাড়ির সিলিন্ডার ক্যাপাসিটিভেদে ২০ থেকে ৩৫০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূরক শুল্ক বসে। তবে বারভিডা সম্পূরক শুল্ক কমানোর নির্দিষ্ট কোনো হার প্রস্তাব করেনি।
এদিকে মাইক্রোবাস আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করার সুপারিশ করেছে বারবিডা। বর্তমানে ১৮০১ সিসির বেশি মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বসে।
বারভিডা আরও বলেছে, অ্যাম্বুলেন্স জীবন রক্ষাকারী বাহন। এই বাহন আমদানিতে শুল্কের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এই ভ্যাট প্রত্যাহার করা উচিত।
এ ছাড়া দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি, হাইব্রিড গাড়ি, প্ল্যাগ ইন হাইব্রিড এবং হাইড্রোজেন গাড়ি আমদানি ও গাড়ি ব্যবহারের বিষয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে বারবিডা। এ ছাড়া নতুন ও পুরোনো গাড়ির শুল্কায়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার তাগিদ দিয়েছে বারবিডা।
বারভিডা আরও বলছে, বর্তমানে গাড়ি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে রিকন্ডিশন্ড ও নতুন গাড়ির ফির ক্ষেত্রে বৈষম্য আছে। এ বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়েছে তারা। তাদের দাবি, সিসিভেদে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির নিবন্ধন ফি নতুন গাড়ির চেয়ে ২৭ হাজার ৫০৮ থেকে ৫৩ হাজার ৯৫৮ টাকা বেশি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কারের পক্ষে ‘মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি দেবে ইসলামী আন্দোলন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সময় দিতে চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলটির নেতারা একাধিকবার জানিয়েছেন, সংস্কারের আগে নির্বাচন মেনে নেবেন না তাঁরা। সংস্কারের পক্ষে দলটি শিগগিরই ‘মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি দেবে বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম।
আজ শনিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত এক সমাবেশে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অচিরেই মার্চ ফর ঢাকা ঘোষণা দেব। লাখ লাখ, কোটি কোটি মানুষ ঢাকায় জমায়েত করব। (আমরা জানতে চাই) কারা সংস্কারের পক্ষে আর কারা বিপক্ষে। জনগণই নির্ধারণ করবে আগে সংস্কার হবে নাকি নির্বাচন হবে।’
ভারতের ওয়াক্ফ আইনের প্রতিবাদ এবং নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। কেবলই নির্বাচন, নির্বাচন। আগে সংস্কার হবে, তারপর নির্বাচন হবে। সংস্কারের বাইরে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন মানবে না। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে টেস্ট হিসেবে আমরা স্থানীয় নির্বাচন চাই। স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারলে বুঝব জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে। নাহলে বুঝতে হবে, নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি।’
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, ‘শুধু কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান এবং কমিশন বাতিল করলেই হবে না; বরং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’ ভারতে ওয়াক্ফ আইন পরিবর্তন করে সে দেশে মুসলমানদের নির্মূল করার অপচেষ্টা চলছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ, ওআইসিসহ সব সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।
গণমিছিল–পূর্ববর্তী এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনূস আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসাইন জাফরী, সংখ্যালঘুবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মকবুল হোসাইন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।