তাসনিম জারার পক্ষ নিয়ে যা বললেন শবনম ফারিয়া
Published: 26th, April 2025 GMT
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা বিতর্ক চলছে। জারাকে আইনি নোটিশ পাঠানোর ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ খুললেন আলোচিত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।
শুক্রবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জারাকে নিয়ে একটি পোস্টে শবনম ফারিয়া লিখেছেন, ‘যখন সরকার বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করার দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করেছে, তখন আপনি কীভাবে এমন একটি মেয়ের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠাতে পারেন, যে মানুষকে শিক্ষিত করার চেষ্টা করছে?
এই সেই মেয়ে, যিনি আন্তর্জাতিক সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে দেশের জন্য কাজ করছে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও সচেতন, জ্ঞানী এবং সুস্থ করে গড়ে তোলা যায়। আর আপনারা এভাবেই তার প্রতিদান দিচ্ছেন?’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমাদের দেশের সবচেয়ে মেধাবী মানুষদের অনেকেই ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে চলে গেছে। ধীরে ধীরে এই দেশ মূর্খদের ভূমিতে পরিণত হচ্ছে। যারা ফিরে এসেছে এবং পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে, তাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করবেন না। তাদের আপনার পরবর্তী ঠাট্টার পাত্রে পরিণত করবেন না।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব স্বপ্রণোদিত হয়ে ডা.
ওইসব ছবি এবং ভিডিও সমাজে ব্যাপকভাবে অশ্লীলতা ছড়িয়ে সামাজিক এবং পারিবারিক মূল্যবোধকে বিনষ্ট করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শবনম ফ র য়
এছাড়াও পড়ুন:
টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারেনি দুদক, দাবি আইনজীবীর
ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ দিতে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবীরা। তাদের অভিযোগ, যুক্তরাজ্যের সাবেক এই মন্ত্রীর ‘ন্যায়বিচার পাওয়ার মৌলিক অধিকার’ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সরব হয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, টিউলিপের আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, গত ১৮ মার্চ একটি চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানোর পরও দুদক টিউলিপের বিষয়ে ‘একটি অকাট্য প্রমাণও সরবরাহ করতে পারেনি’। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ল ফার্ম স্টেফেনসন হারউড এলএলপি একটি নতুন চিঠিতে এ অভিযোগ করেছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এর পর থেকে শেখ হাসিনাসহ শেখ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের খবর সামনে আসছে। দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের এক মামলায় গত ১৩ এপ্রিল টিউলিপসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত। আরেকটি অভিযোগ অনুযায়ী, টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার বাংলাদেশের একটি অবকাঠামো প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন।
নতুন একটি চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবীরা বলেছেন, তাদের মক্কেলকে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ বিষয়ে বাংলাদেশ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। তাদের দাবি, এক মাস আগে দুদককে চিঠি পাঠিয়ে তথ্য-প্রমাণ চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোনো জবাব মেলেনি। দুদক সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে এবং ‘ভীতি প্রদর্শনের কৌশল’ নিয়ে টিউলিপের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে চাইছে।
তারা দাবি করেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে কোনো মামলাই টেকে না। তাঁর বাংলাদেশে আসার তো প্রশ্নই ওঠে না। তারা দুদকের বিরুদ্ধে ‘সাজানো অভিযান’ চালানোর অভিযোগও তুলেছেন। তারা বলেছেন, দুদক ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক অভিযোগ’ এনে, সংবাদমাধ্যমে খবর ফাঁস করে এবং ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির হুমকি দিয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। এই আচরণ আন্তর্জাতিক রীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
গত সপ্তাহে একটি ব্রিফিংয়ে দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে চিঠি চালাচালি করবে না। বিষয়টি আদালতই দেখবেন। চিঠি চালাচালি আদালতের প্রক্রিয়ার বিকল্প হতে পারে না। পরোয়ানা জারির পরও যদি তিনি হাজির না হন, তাহলে তাঁকে পলাতক আসামি হিসেবে গণ্য করা হবে।