এবার ‘পুতুল’ নিয়ে হাজির বে অব বেঙ্গল
Published: 26th, April 2025 GMT
বে অব বেঙ্গল গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করেছিল তাদের ‘দ্বিতীয়’ অ্যালবামের চতুর্থ গান ‘গন্ধ খুঁজে পাই’। প্রকাশের পর রকপ্রেমীদের মাঝে আলোড়ন তোলে গানটি। অনেকের দাবি, গানটি বে অব বেঙ্গলের এক অনবদ্য সৃষ্টি, যা দীর্ঘদিন শ্রোতা হৃদয়ে অনুরণন তুলে যাবে। এ গান প্রকাশের পর থেকেই এই ব্যান্ডের নতুন আয়োজনের জন্য প্রহর গুনছিলেন শ্রোতারা।
সেসব শ্রোতার কথা মাথায় রেখে আরেকটি ভিন্ন ধাঁচের গান করছেন ব্যান্ডটির সদস্যরা। শিরোনাম ‘পুতুল’। এটি তাদের ‘দ্বিতীয়’ অ্যালবামের পঞ্চম গান।
বৃহস্পতিবার রাতে ব্যান্ডের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করা হয়েছে। গানের কথা লেখার পাশাপাশি সংগীত প্রযোজনা করেছেন ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট ও কণ্ঠশিল্পী বখতিয়ার হোসেন।
সম্মিলিতভাবে গানের আয়োজন করেছেন ব্যান্ডের গিটারিস্ট রকিবুল নিপু, বেইজ গিটারিস্ট এহতেশাম আবিদ, কি-বোর্ডিস্ট জমিলুর রহমান জিমি ও ড্রামার আবিদ পাশা। গানের কোরাস অংশে কণ্ঠ দিয়েছেন সারওয়া, ঈদ ও আলেনা।
নতুন এ আয়োজন নিয়ে এহতেশাম আবিদ বলেন, ‘সংগীতের তৃষ্ণা থেকেই সৃষ্টি নেশায় মেতে উঠেছিলাম আমরা। সেই সূত্রেই একটি-দুটি করে গান তৈরির মধ্য দিয়ে শ্রোতাদের সঙ্গে মনের সংযোগ ঘটেছে। তৈরি হয়েছে নতুন গানের প্রত্যাশা, যা পূরণ করা আমাদেরই দায়িত্ব। সে কারণে আগের আয়োজনগুলো ছাপিয়ে আরও ভিন্ন ধাঁচের গান তৈরির চেষ্টা। যার সুবাদে ‘পুতুল’ গানের জন্ম। গানটি অনেকের ভালো লাগবে বলেই আশা করছি।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ বোনাস ২৫ শতাংশ বাড়ছে
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ বোনাস ২৫ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আজ শনিবার ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানান যুব ও ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুদ পেজে তিনি লিখেছেন, বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ হারে ঈদ বোনাস পেয়ে থাকেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদুল আজহার বোনাস ২৫% থেকে বাড়িয়ে ৫০% করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আগে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা উৎসব ভাতা পেতেন না। ২০০৩ সালের জুলাইয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বছরের অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হয়। তখন সিদ্ধান্ত হয়, শিক্ষকদের দেওয়া হবে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ। দুই ঈদে (অথবা পূজায়) ২৫ শতাংশ করে ভাগ করে তা দেওয়া হবে। সেই থেকে প্রতি ঈদে শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। কর্মচারীদের জন্য ওই সভায় শতভাগ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। দুই ঈদে ৫০ শতাংশ করে তা ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ বছরের ৫ মার্চ উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিদায় নেওয়ার আগে শিক্ষকদের উৎসব, বিনোদন, বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা বাড়ানোর একটি প্রস্তাবে সই করেন। এরপর এ নিয়ে কাজ শুরু করে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখা থেকে জানায়, গত ঈদুল ফিতরে সারাদেশের প্রায় ৩০ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা মিলে প্রায় ২৪০ কোটি টাকার উৎসব ভাতা দেওয়া হয়। এর মধ্যে শুধু স্কুল ও কলেজ ২০ হাজার ৫৬৭টি। এর সঙ্গে মার্চ/২০২৫ মাসের বেতন হিসেবে দেওয়া হয় ৮৮৩ কোটি ৫১ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ টাকা।
ঈদ বোনাস বর্তমানের চেয়ে অন্তত ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষকরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ আর কর্মচারীরা ৭৫ শতাংশ বোনাস পেতে পারেন।